‘বঙ্গবন্ধুর কালোত্তীর্ণ রূপকল্প ও দর্শনেরই ফসল বর্তমানের বাংলাদেশ’

ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও দর্শনের পথ ধরেই আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কালোত্তীর্ণ রূপকল্প ও দর্শনেরই ফসল বর্তমানের বাংলাদেশ।
শামীম আহসান রোমের তরভেরগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্লোবাল কনভারসেশন’ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রবন্ধে এ কথা বলেন। তিনি সেমিনারে এ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়। প্রবন্ধে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলেই জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ এখন বাস্তবতার দ্বারপ্রান্তে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক সুতোয় গাঁথা এবং সে সূত্র ধরে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রার সার্থক রূপায়নে জাতির পিতার প্রদর্শিত পথই যে নেপথ্যে অবদান রেখে চলছে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। রাষ্ট্রদূত আহসান শিক্ষার্থীদের সামনে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনের কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। বিশ্ব শান্তি ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত কালজয়ী বিভিন্ন উদ্ধৃতি এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার গল্প শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ জাগায়। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রা, ভবিষ্যৎ রূপকল্প ও অনন্য সাফল্যসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থানও পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর দেখানো মূলনীতিসমূহ যে এখনো প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকর সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূত তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে পর্যালোচনা তুলে ধরেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও সকল শিক্ষার্থীর সামনে প্রদর্শন করা হয় যা বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভীষ্ট সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করে। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, ভূ-রাজনৈতিক কৌশল এবং বিশ্ব রাজনীতিতে এর অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ে রাষ্ট্রদূত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উপর তথ্য ও উপাত্তসহ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট কয়েকজন শিক্ষক এবং দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, খ্যাতিমান তরভেরগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতালির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী (প্রায় ৩৫,০০০) অধ্যয়ন করে। দূতাবাসের চলমান জনকূটনীতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দূতাবাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।