বাংলাদেশ-ওমানের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে: ড. মোমেন

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ওমানের পারস্পরিক স্বার্থে বাণিজ্যে সবোর্চ্চ সুবিধা লাভে দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) অথবা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের (এফটিএ) সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত দশকে বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেড়েছে, তবে খুবই সামান্য। আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য পণ্য বহুমুখিকরনের অনেক সুযোগ রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন মুজিব বর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তি উৎযাপন উপলক্ষে রোববার ”বাংলাদেশ ওমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য : চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ” শীষর্ক এক ওয়েবিনারে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কূটনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি শেখ খলিফা আলহার্থিও বক্তব্য রাখেন। আজ এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মোমেন বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষধ,চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মৎস্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের মতো আন্তর্জাতিক মানের পন্য ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, সারাবিশ্বের অন্যান্য দেশে রফতানি করছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়িরা আরো অধিক প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে অধিকাংশ পণ্য ওমানে রফতানি করার ব্যাপারে আশাবাদি। তিনি ওমানের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের অবাধ প্রবেশে সেদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, জ্বালানী, নবায়নযোগ্য জ্বালানী,প্রযুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের মতো বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় খুজে বের করতে অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করবো।

ড. মোমেন বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারনের জন্য প্রয়োজন দু’দেশের বেসরকারি সেক্টর ও ব্যবসায়ি সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা। এ জন্য আমাদের প্রয়োজন বিটুবি আলোচনা এবং দু’দেশের ব্যবসায়ি সম্প্রদায়ের মধ্যে সফর বিনিময় করা প্রয়োজন। তিনি দু’দেশের মধ্যে নতুন নতুন ব্যবসা খুজে বের করা এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ -ওমান ব্যবসায়ি ফোরাম গঠন করা যেতে পারে। দুটি দেশই এক অপরের রাজধানীতে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় অংশ নিতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের ব্যবসাবন্ধব পরিবেশের সুবিধা নিতে এ দেশে বিনিয়োগ করার জন্য ওমানের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ওমান ঢাকাসহ সারাদেশে হাইটেক পার্কে হোটেল, আবাসিক ও শপিং কমপ্লেক্স নিমার্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লুইকনোমি, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এবং জ্বালানী ও বিদ্যৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হলে তাদেরকে ভূমি দেয়ার আশ্বাস দেন। তিনি ব্লু-ইকনোমি, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এবং জ্বলানী ও বিদ্যুৎ কাতে বেশি করে বিনিয়োগ করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওমানের প্রতি আহবান চানান। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান