বাংলাদেশ বাংকের ঋণ মওকুফের ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক নয়

বাংলাদেশ বাংকের ঋণ মওকুফের ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (০১ মার্চ) হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।

অর্থ সচিব, ব্যাংকিং বিভাগের সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, মহাহিসাব নিরীক্ষক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং অপারেশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে-সব প্রতিষ্ঠানের ঋণ মওকুফ করা হয়েছে, তার একটি তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া ঋণ মওকুফ পাওয়া কোম্পানি বা ব্যক্তিরা দেশের অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন কি না, করে থাকলে কি তার পরিমাণ করেছেন, তা উল্লেখ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ গভর্নরকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে আদালতের এই আদেশ সংশ্লিষ্টদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। বুধবার আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এশিয়ান এজ পত্রিকায় ‘সরকারের কাছ থেকে শতকরা ৬০ ভাগ খেলাপী ঋণ দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকা গায়েব’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।

 

সুত্র: দ্য রিপোর্ট