‘বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান’

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। বাংলাদেশে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে অনুকূলে।

বৃহস্পতিবার হংকংয়ের একটি হোটেলে প্রাইম সোর্স ফোরাম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘১৩তম প্রাইম সোর্স ফোরাম’ এর ‘দি গ্লোবাল ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রি এন্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কীনোট উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগকারীরা এখন শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন, প্রয়োজনে বিনিয়োগকৃত শতভাগ অর্থ এবং লাভ ফিরিয়ে নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে ডাবল টেক্স সিসটেম প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে হংকংয়ের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুন্য হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। এ মার্চ মাসেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ীযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭২-৭৩ সালে ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রপ্তানি করে আয় করতো ৩৪৮.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজ বিশ্বের প্রায় ১৯৯টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করছে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানি কারক দেশ। দেশের রপ্তানির প্রায় ৮১ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। জিডিপিতে এ সেক্টরের অবদান প্রায় ১৩ ভাগ। এ শিল্পে জনবল প্রায় ৫০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগই নারী। দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ শুধু ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশই হবে না, বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। ডেভলপিং কান্ট্রিতে পরিণত হতে যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়, তা বাংলাদেশ অর্জন করেছে।

ফোরামে যোগদিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার রাতে হংকংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। আগামীকাল তার তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা আশা করা হচ্ছে।

আরএম/