বাংলা সাহিত্যের দিকপাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের দিকপাল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

তিনি বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের দিকপাল, উজ্জ্বল নক্ষ ত্র। কবির মানসপটে ছিল শিল্পের পরিশীলতা। তিনি শুধু কবি ছিলেন না। তিনি একাধারে একজন সঙ্গীতজ্ঞ, কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন।

বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নওগাঁর পতিসরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আবদুল হামিদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন জমিদার বংশের। কিন্তু জমিদারি পছন্দ করতেন না। তিনি সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ নয় বিশ্ব মানবতার জন্য কাজ করেছেন। তিনি গ্রামীণ প্রজাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছেন। দরিদ্র প্রজাদের ভাগ্যোন্নয়নে গ্রামীণ ক্ষুদ্র ঋণ, কুটির শিল্প ইত্যাদি প্রবর্তন করেছেন।

পতিসর সম্পর্কে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে অনেকবার অনুরোধ করলেও আসার সুযোগ হয়নি। আমি ভেবেছিলাম পতিসর একটা ইউনিয়ন। এখন দেখলাম এটি একটি গ্রাম। পতিসরে না আসলেও এর পাশ দিয়ে রাজশাহী জেলে আসা যাওয়া করেছি। রাজশাহী জেল এখান থেকে বেশি দূরে নয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি কোনো দলের না। আমি সকল দল ও মতের ঊর্ধ্বে। রাষ্ট্রপতি হয়েছি প্রায় ৪ বছর হয়েছে। তার পূর্বে জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলাম। সেখানেও নিরপেক্ষ ছিলাম। কেন জানি আমাকে বাছাই করে নিরপেক্ষ জায়গাগুলোতে রাখা হচ্ছে।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, নওগা-৬ এর সাংসদ ঈস্রাফিল আলম প্রমুখ।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৮ মে ২০১৭