বার্সেলোনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পথে সেভিয়া

কোপা ডেল রে’র সেমিফাইনালের প্রথম লেগেই হোঁচট খেয়েছে বার্সেলোনা। কাতালান জায়ান্টদের ২-০ গোলে পরাজিত করে কোপার ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে সেভিয়া।
র‌্যামন সানচেজ পিজুয়ানে আরো একবার স্বাগতিক হিসেবে সেভিয়ার শক্তিমত্তা প্রমানিত হলেন। জুলেস কুন্ডের গোলে ২৫ মিনিটে এগিয়ে যায় সেভিয়া। ২২ বছর বয়সী এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার নিজেকে প্রমানে কোন ছাড় দেননি। এই মুহূর্তে কেন তাকে বিশে^র অন্যতম সেরা উদীয়মান সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার আরো এক ঝলক তিনি দেখিয়েছেন। বার্সেলোনার সাবেক ক্রোয়েট মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ ৮৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি দলের দারুন এক জয় নিশ্চিত করেন।
কুন্ডে তিনজন বার্সা ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে কোনাকুনি শটে বার্সাকে এগিয়ে দেন। ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে রাকিটিচের স্ট্রাইকে রোনাল্ড কোম্যানের দলের পরাজয় নিশ্চিত হয়। এই পরাজয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে যেতে হলে ফিরতি লেগে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সাকে নি:সন্দেহে পাহাড় সমান চ্যালেঞ্জ পার করতে হবে।
বার্সা বস কোম্যান বলেছেন, ‘এই ফলাফল কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। তারা খুব বেশী উপহার পেয়ে গেছে। ফিরতি লেগটি আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ালো। আমাদের সামনেও সুযোগ আছে এবং নিজেদের সেরাটা দেবার চেষ্টাই করবো। নিজেদের মাঠে আমার দলের উপর পূর্ণ আস্থা আছে।’
এর আগে কোম্যান বলেছিলেন কাপ টুর্নামেন্টে সফলতা আসা মানে লিগ শিরোপা জয়ের পথে নিজেদের পথ প্রশস্ত করা। আগামী সপ্তাহে পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র লড়াইকে সামনে রেখে অবশ্য বার্সেলোনার রক্ষনভাগকে আরো বেশী সতর্ক হতে হবে, এমন বার্তাই কালকের ম্যাচে দিয়ে গেছেন কুন্ডে। আগামী মঙ্গলবার ক্যাম্প ন্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র প্রথম লেগের ম্যাচে পিএসজিকে আতিথেয়তা দিবে কাতালান জায়ান্টনা।
যদিও এখনো কাপ আসরে কোন কিছুই শেষ হয়ে যায়নি। আগামী ৩ মার্চ ঘরের মাঠে ইনজুরি আক্রান্ত ডিফেন্ডাররা দলে ফিরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কোম্যান। তারপরেও কাল সম্ভাব্য সেরা একাদশ নিয়েই খেলতে নেমেছিলেন বার্সা বস। ইনজুরির কারনে রোনাল্ড আরাহো ও জেরার্ড পিকে দলের বাইরে রয়েছেন। যে কারনে লেফট-ব্যাক হিসেবে জোর্দি আলবার সাথে রাইট-ব্যাকে জুনিয়র ফিরপো, রাইট-ব্যাক অস্কার মিনগুয়েজাকে সেন্টার-ব্যাক হিসেবে স্যামুয়েল উমতিতির সাথে মাঠে নামিয়েছিলেন কোম্যান। লম্বা ইনজুরির কারনে উমতিতি এখনো তার সেরা ফর্ম ফিরে পাননি।
ম্যাচের শুরুতে আঁতোয়ান গ্রীজম্যানের দারুন এক পাস থেকে লিওনেল মেসিকে হতাশ করেন সেভিয়া গোলরক্ষক বুনো। ২৫ মিনিটে কুন্ডে নিজেদের অর্ধ থেকে বল পেয়ে গ্রীজম্যান, সার্জিও বাসকুয়েট ও আলাবাকে কাটিয় উমতিতিকে ফাকি দিয়ে একক প্রচেষ্টায় দারুন এক গোলে সেভিয়াকে এগিয়ে দেন। বিরতির পরপরইর সার্জিও এসকুডেরো ব্যবধান প্রায় দ্বিগুন করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগান সে যাত্রা বার্সাকে রক্ষা করেন। ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে অলিভার টোরেসের চমৎকার পাসে রাকিটিচের গোলে সেভিয়ার জয় নিশ্চিত হয়।