স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের মানুষ ইতোমধ্যে জেনে গেছে যে, বিএনপি দেশের কল্যাণ চায় না। তিনি আরো বলেন, বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড ও নেতিবাচক রাজনীতির জন্য দলটি একটি অকল্যাণকর দলে পরিণত হয়েছে।
মো. তাজুল ইসলাম আজ ঢাকা ওয়াসার উদ্যোগে সাভার উপজেলায় তেতুলঝড়া-ভাকুর্তা এলাকায় বাস্তবায়িত ওয়েল্ডফিল্ড প্লান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি সবসময় নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক ও হিংসাত্মক রাজনীতি করতে পছন্দ করে। দেশের ব্যাপক উন্নয়ন অগ্রযাত্রা তাদেরকে ব্যথিত করে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ কষ্টে থাকলে বিএনপির রাজনীতি করতে সুবিধা হয়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে দলটির নেতারা আবোল-তাবোল বকছে।
পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে না পারায় ব্যাপক জনরোষে পড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বে আমাদের দেশ সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন আনতে সক্ষম হয়েছে এবং ইতোমধ্যে মানুষ বিপুল আগ্রহের সঙ্গে ভ্যাকসিন নিতে শুরু করেছে।
পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে অপর এক এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন সকল নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ এবং স্থানীয় পর্যায়ে চলমান সব নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, নির্বাচন নিয়ে সারা পৃথিবীর সব দেশে একটি বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করে এবং নির্বাচনকালীন সময়ে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার দেশে চলমান নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম।
তাজুল বলেন, মানুষ খুব সহজে পানি পায় বলে তার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে না। দুর্লভ জিনিসের প্রতি মানুষের আলাদা আকর্ষণ থাকে। এমনটি সারা পৃথিবীতেই ঘটে থাকে। আমাদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহর ছাড়াও আমার গ্রাম আমার শহর কর্মসূচী অনুযায়ী গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কাজ চলছে। তিনি বলেন, টেকসই লক্ষমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ ভাগ ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশ সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সাভার উপজেলায় তেতুলঝড়া-ভাকুর্তা এলাকায় ওয়েল্ডফিল্ড প্লান্টে পানি উত্তোলনের জন্য পানির লেভেল নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হলেও দুই বছরের স্টাডি রিপোর্টে দেখা গেছে পানির কোনো তারতম্য হয়নি।
এসময়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম এবং ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসা এই প্লান্ট থেকে মিরপুর এলাকায় দৈনিক ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। তথ্য-বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান
