বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধে ১ এপ্রিল থেকে আইনি ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী

বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন বন্ধে ১ এপ্রিল থেকে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের বিষয়টি ক্যাবল অপারেটেরদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার আইনত দণ্ডনীয়। ক্যাবল অপারেটেররা এ আইন মেনে চলার শর্তেই ব্যবসা পরিচালনায় নেমেছেন। ১ এপ্রিল থেকে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র (ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার) আয়োজিত ‘সংকটে বেসরকারি টেলিভিশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে জনপ্রিয় হওয়ায় এ দেশের কিছু প্রতিষ্ঠানও সেই চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এতে করে দেশি টিভি চ্যানেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আইনের প্রয়োগ হলে দেশি চ্যানেলগুলো বছরে ৩০০-৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা পাবে বলে আশা করা যায়।’

এ সময় ক্যাবল সংযোগে রাষ্ট্রীয় চ্যানেলগুলোর পরই বেসরকারি দেশি টিভি চ্যানেলগুলোকে তাদের সম্প্রচারের তারিখ অনুযায়ী ক্রমে রাখার বিধির কথাও উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

বেসরকারি টেলিভিশনের সমস্যা চিহ্নিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চ্যানেলের সংখ্যা বৃদ্ধি, বিজ্ঞাপনের বাজার ছোট হওয়া, অনলাইনে বিজ্ঞাপন বৃদ্ধি ও অনলাইন পত্রিকাতেও ভিডিও সম্প্রচারের কারণে বেসরকারি টিভিগুলোর সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়গুলোকে যুগোপযোগী আইন ও ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাধানে সকলের সহায়তা প্রয়োজন।’

উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি উন্নত জাতি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত জাতি গড়তে বস্তুগত উন্নতির পাশাপাশি আত্মিক উন্নয়ন প্রয়োজন। আর টিভি চ্যানেলগুলো এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। জনগণ ও নতুন প্রজন্মের মনে বিরূপ প্রভাব উদ্রেককারী কোনো কিছুর সম্প্রচার সমীচীন নয়।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, চ্যানেল ২৪ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, বেঙ্গল কমিউনিকেশন্সের নির্বাহী চেয়ারম্যান আফসার খায়ের মিঠু, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, রাহুল রাহা, শাকিল আহমেদ প্রমুখ।

সূত্র – ইউএনবি