বিদ্যমান ডিসরাপটিং উদ্ভাবন বিশ্বের মধ্যকার সীমারেখা পাল্টে দিয়েছে : মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিদ্যমান ডিসরাপটিং উদ্ভাবন ইতোমধ্যে শারীরিক, ডিজিটাল ও জৈবিক বিশ্বের মধ্যকার সীমারেখা পাল্টে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ৫জি ইন্টারনেট, ইন্টারনেট অব থিংস, বিগডেটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেমস, মেশিন লার্নিং, থ্রিডি প্রিন্টিং, ন্যানো টেকনোলজি ও জেনোটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তর উন্নয়ন চতর্থ শিল্প বিপ্লবের সোপান হিসেবে কাজ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এজন্য সমন্বিত উদ্যোগে ডিসরাপটিং ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রয়োগে লাগসই পরিকল্পনা প্রয়োজন।

মোস্তফা জব্বার আজ অনলাইনে আইটিইউ রিজিওনাল ডেভলপমেন্ট ফোরাম ফর এশিয়া প্যাসিফিক রিজন-২০২০ লিডারশীপ ডায়ালগে ডিজিটাল বিকাশ এবং এসডিজির দিকে অগ্রগতি অর্জনে ক্রস-সেক্টরিয়াল সহযোগিতা বিষয়ক এক বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রীসহ মঙ্গোলিয়া, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

আইটিইউ’র এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক অসতকো ওকোডা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারী ইতোমধ্যে আমাদের ডিজিটাল হওয়ার সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিশ্বকে উপলদ্ধি করিয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নের বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য ডিজিটাল রুপান্তরের সক্রিয় ভূমিকা এখন আগের চেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশই প্রথম দেশ যেখানে নিজেকে ২০২১ সালের স্বপ্নের সঙ্গে ডিজিটাল জাতি হিসেবে ঘোষনা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শিতায় মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলেছে।

২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী বাস্তবায়নের যাত্রা শুরু করার পর থেকে দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী বাস্তবায়নের ধারাবাহিতকায় বাংলাদেশ বিশ্বের নবম এবং এশিয়ার ৫ম বৃহত্তম মোবাইল বাজার।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ১৬৬ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে , যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ১০১ ভাগ।

দেশে ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে জাতীয় ডিজিটাল আর্কিটেকচার বাস্তবায়ন শুরু করেছে এবং ডিজিটাল অবকাঠামো ও পরিসেবাগুলোর মধ্যে সমস্ত সেক্টরকে একীভূত করার জন্য কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।