বিশ্বশান্তি কামনায় শেষ হলো আখেরি মোনাজাতের প্রথমপর্ব

বিশ্ব শান্তি, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত।

শনিবার সকাল পৌনে ১0টায় মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১১টা ০৭ মিনিটে। মোনাজাত পরিচালনা করছেন কাকরাইল মার্কাজের মুরব্বি ও শূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা যোবায়ের।

মোনাজাতের শুরুতে আল্লাহ তায়ালার রহমত কামনা করে কোরআনে বর্ণিত আয়াতগুলো পাঠ করা হয়।

মোনাজাত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ইজতেমা ময়দান ও এর আশেপাশের এলাকায় পিনপতন নীরাবতা নেমে আসে। আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

ইজতেমার মাঠ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় উপস্থিত নানাবয়সী মানুষ কান্নাভেজা কণ্ঠে মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।

চারদিকে শুধু কান্নার আওয়াজ। সবারমুখে একই কথা.. আমিন, আমিন। হে আল্লাহ, কবুল কর। গুনাহ মাফ কর। তোমার রহমতে ঢেকে নাও।

ময়দানে উপস্থিত থেকে মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন হেফাজত ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আজমত উল্লাহ খানসহ সর্বস্তরের মানুষ।

এর আগে শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর কোরআন তেলাওয়াত অন্যান্য নফল আমল শেষে শুরু হয় বয়ান। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে মাওলানা খুরশিদ উর্দুতে হেদায়াতি বয়ান করেন। বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আবদুল মতিন। ‘মোনাজাতের আগে, মোনাজাতের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেন ভারতের মুরব্বি মাওলানা ইবরাহিম দেওলা।

ইবরাহিম দেওলা বলেন, দোয়া হলো ইবাদতের মগজ। দোয়ায় আল্লাহ খুশি হন। তাই জীবনের যাবতীয় প্রয়োজনে আমাদের চাইতে হবে আল্লাহর কাছে। এটা রাসূলের শিক্ষা, ইসলামের শিক্ষা। মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল দূর দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানের দিকে আসতে থাকে।

ভারতের মুরব্বি মাওলানা ইবরাহিম দেওলার মোনাজাতের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ আলোচনার পর আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমায় বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ, আলেম-উলামা ও তাবলিগি সাথীরা অংশ নিয়েছেন। স্থানীয়দের মতে এবারের মতো মানুষ বিগত কোনো ইজতেমায় অংশ নেয়নি।

আজকের বাজার/এমএইচ