বুড়িচংয়ে মিশ্র ফলের বাগানে মোহাম্মদ হোসেনের সফলতা লাভ

জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় পাহাড়ের বুকে শখের বশে বিভিন্ন প্রজাতির দৃষ্টিনন্দন মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলে সফলতা লাভ করেছেন আনন্দপুর গ্রামের প্রবাস ফেরত মোহাম্মদ হোসেন। তার শৈশবকাল থেকেই বৃক্ষের প্রতি ছিল অপরিসীম ভালোবাসা। সেই ভালোবাসার টানে তিনি নিজ উদ্যোগে প্রায় দেড় একক জায়গাতে গড়ে তুলেছেন ফলের বাগান। ইতোমধ্যে ঢালু পাহাড়ের বুকজুড়ে গড়ে তোলা ফল বাগানে ধরে আছে থোকায় থোকায় ফল। বর্তমানে তার বাগানজুড়ে থাকা ফলের হাসি শুধু তাকেই অনুপ্রাণিত করেনি, অনুপ্রাণিত করেছে কৃষি বিভাগ এবং বৃক্ষপ্রেমী অনেক মানুষকে।

তার এ ফল বাগানের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন অনেক আসছে এবং ছবি তুলছে। পাহাড়ের বুকে ফলের বাগান গড়ে তোলার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বুড়িচংয়ে কৃষিকে একধাপ এগিয়ে দেয়ার পাশাপাশি খুলে দিয়েছে সম্ভাবনাময় সফলতার নতুন দ্বার। তার এ সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পাহাড় ও পরিত্যক্ত অনাবাদি জায়গায় বাগান গড়তে উৎসাহিত করবে বলে জানান অনেকে।

বাগান মালিক মোহাম্মদ হোসেন বাসসকে বলেন, শখের বশে ৪ বছর আগে দেড় একর পরিত্যক্ত উচু মাটিতে উন্নত প্রজাতির ফলের বাগান গড়ে তুলি। বাগান গড়ে তোলার প্রথমে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় তা স্বাভাবিক হয়।

উন্নত জাতের প্রায় ৫০০ প্রজাতির ফল গাছ রয়েছে। এ জায়গাতে উন্নত জাতের মাল্টা, কমলা, আম, কলা, খেজুর, পেয়ারা, লিচু, কাঁঠাল, পাতি লেবু, এলাচি লেবু, হাইব্রিড কাগজী লেবু, পেঁপে, কামিনী হাইব্রিড, কাজী পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী, বড়ই, আপেল কাজু বাদামসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ রোপণ করি। তিনি আরো বলেন, ফলনও ভালো হয়েছে। শখের বশে বাগান করেছি। বাগানের সৌন্দর্যই আমার আনন্দ।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বাসসকে বলেন, বুড়িচং উপজেলায় ফল বাগান গড়ে তুলতে আমরা চেষ্টা করছি। সীমান্ত ঘেষা আনন্দপুর, পাহাড়পুর এলাকায় বেশ কিছু বাগান ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ প্রদান করছি। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান