বৃষ্টির দিনে স্বাচ্ছন্দের জুতা

এখন প্রায় প্রতিদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখন যে বৃষ্টি আবার কখন যে রোদ তা একেবারে বোঝা বড়ই দ্বায়। রাস্তাঘাট দেখলেও মনে হয় ছোট খাটো খাল। বৃষ্টির দিনে ছাতা সুরা দেয় মাথাটাকে আর জুতা পা’কে। তবে বৃষ্টির পানিতে ভিজে শখের জুতা জোড়া দ্রুতই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়।

কেননা, মন না চাইলেও এ সময় অফিসের কাজে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাইরে বেরোতে হয়। তাই জুতা কেনার সময় বর্ষার কথা মাথায় রাখুন। আর কি ধরণের জুতা এ সময় টেকসই হবে তা জেনে নেওয়া যাক।

অনেকেই আবার বর্ষায় হালকা হিলের জুতা পছন্দ করেন। এতে নোংরা কাদা পানি পায়ে কম লাগে। তাই একটু উচু ও খোলামেলা জুতাও বেছে নিতে পারেন। বর্ষায় জুতা খোলামেলা হওয়াই ভালো। এতে করে পায়ে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন কম হবে।

সাধারণ চামড়ার জুতা বৃষ্টিজলে দ্রুত নষ্ট হয়। আর বর্ষা মানেই পায়ের নিচে নোংরা কাদাজল। কিন্তু এখন বাজারে আছে নানা রকম কৃত্রিম চামড়ার জুতা। আছে নরম রাবার বা সিনথেটিক লেদারের জুতাও। বর্ষাকালের জন্য বিশেষ ডিজাইনের জুতা আছে অনেক নামী ব্র্যান্ডেরও।

বৃষ্টির দিনে সবচেয়ে ভালো হয় প্লাস্টিকের জুতা পড়লে। বিভিন্ন শপিং মল প্লাস্টিকের তৈরি নানান ডিজাইনের জুতা এনেছে। এসব জুতা দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি আরামদায়কও বটে। প্লাস্টিকের জুতা পরে অফিস কিংবা ফর্মাল কোনো আয়োজনেও যেতে পারবেন।

সব ঋতুতেই চপ্পল পছন্দ অনেকেরই। বর্ষার কথা মাথায় রেখেই বাজারে এসেছে রেক্সিন ও স্পঞ্জের তৈরি বিভিন্ন ডিজাইনের চপ্পল এবং স্যান্ডেল। এগুলো পরতে যেমন আরামদায়ক, তেমনি পানিতে এর ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয় না, আবার দামেও সাশ্রয়ী।

কম দামে বিভিন্ন রাবারের সোলের বৈচিত্র্যময় জুতা পাবেন নিউমার্কেট, চাঁদনিচক, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর, গুলিস্তানের বিপণী বিতানগুলোতে। ব্র্যান্ডের জুতা কিনতে চাইলে চলে যেতে পারেন বসুন্ধরা সিটি, রাপা প্লাজা, ইস্টার্ন প্লাজা, মেট্রো শপিং মলসহ এ ধরনের বিপণিবিতানে। এ ছাড়া বাটা, গ্যালারি অ্যাপেক্স, বে এম্পোরিয়ামসহ নানা ব্র্যান্ডের নিজস্ব আউট-লেটে তো বাহারি জুতার সমাহার।

আজকের বাজার: আরআর/ ০২ মে ২০১৭