বোমা নিষ্ক্রিয়ে কাজ করছে ডিসপোজাল ইউনিট

খিলগাঁওয়ে র‌্যাব-৩ এর চেকপোস্টে হামলার চেষ্টাকালে নিহত হওয়া যুবকের শরীরে সুইসাইডাল ভেস্টের পাশাপাশি তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকেও হাতে তৈরি উদ্ধার করেছেন বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল।

গ্রেনেডগুলো উদ্ধার করে পাশের খোলা মাঠে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছেন নিষ্ক্রিয়কারী দলটি। এর মধ্যে একটি বোমা নি‌ষ্ক্রিয় করা হয়েছে। হামলাকারীর মরদেহ এখনো ঘটনাস্থলেই পড়ে আছে।

ইতিমধ্যেই সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা সেখানে গিয়ে আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। এরপরই নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

এদিকে হামলাকারীর মোটরসাইকেলের কোনো নম্বরপ্লেট না থাকায় এটি রেজিস্ট্রেশন করা কি না তা এখনো জানা যায়নি, হামলাকারীর নাম পরিচয়ও পাওয়া যায়নি।

র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মুহাম্মদ মাসুদ বলেন, ভোরে খিলগাঁও শেখের জায়গা নামের স্থানে এলিট ফোর্সটির একটি অস্থায়ী চেকপোস্টে তল্লাশি করছিলেন র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় বিস্ফোরকসহ মোটরসাইকেলে করে এক দুর্বৃত্ত চেকপোস্টে প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন ওই আরোহীকে বাধা দিতে গেলে ওই যুবক তার বন্দুক দিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে। তখন র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সে। এ ঘটনায় দুই র‌্যাব সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বন্দুকযুদ্ধে নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর মরদেহ ঘটনাস্থলেই রয়েছে। ঘটনাস্থলের চারদিক ক্রাইমসিন ইউনিটের ফিতা দিয়ে কর্ডন করে রাখা হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিরাপদ ঘোষণা না করার আগ পর্যন্ত কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ মার্চ) জুমার নামাজের সময় রাজধানী র‍্যাব সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলা হয়। এতে হামলাকারী নিহত হয় ও র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হন। এ ঘটনার পরে দেশের সব কারাগার, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়।

সুত্র: দ্য রিপোর্ট