ব্যবসায় প্রকল্পে চ্যালেঞ্জ ফান্ড’র অনুদান

বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে সম্পৃক্ত করতে কিংবা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে কোন উদ্ভাবনী চিন্তার বাণিজ্যিক বা ব্যবসায় প্রকল্পে অর্থ অনুদান দিচ্ছে ইউকে এইডের আওতায় পরিচালিত ‘চ্যালেঞ্জ ফান্ড’। ওই ফান্ড থেকে ব্যবসায় প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হচ্ছে। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী কিংবা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করে অর্ন্তভূক্তিমূলক উন্নয়নে এ অনুদান দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার ৯ মে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং বিসনেস ফাইন্যান্স ফর দ্য পুওর ইন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় চ্যালেঞ্জ ফান্ড থেকে অনুদান প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন ফান্ড ম্যানেজার মো. আরাফাত হোসেন।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ফান্ডটি বিভিন্ন উদ্ভাবনী ব্যবসায় প্রকল্প অনুদান দিয়ে আসছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আরও দুই বছর এটির মেয়াদ বাড়ছে। ইতোমধ্যে দুই দফায় ফান্ডটির মাধ্যমে ১৬ টি প্রকল্পে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ৬৮ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হবে। এরমধ্যে ১১ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং, ব্যাংক এশিয়ার ‘দিগন্ত’।

আরাফাত হোসেন আরও জানান, তৃতীয় পর্যায়ে ৬০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হবে। চলতি মে মাস থেকে তৃতীয় পর্যায়ের অনুদান দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশের যে কোন ব্যক্তি ফান্ড থেকে অনুদান পেতে আবেদন জমা দিতে পারবেন। প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই শেষে যোগ্যদের মধ্যে অনুদান দেওয়া হবে।

ইউন্ডো-১, ইউন্ডো-২ ও ইউন্ডো-৩ ক্যাটাগরিতে এ অর্থ অনুদান দেওয়া হবে। এরমধ্যে ইউন্ডো-১-এ দেড় কোটি থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা, ইউন্ডো-২ ক্যাটাগরিতে সাড়ে ৩ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা এবং ইউন্ডো-৩ ক্যাটাগরিতে আড়াই কোটি থেকে সাড়ে ৭ কোটি টাকা অর্থ অনুদান দেওয়া হবে বলে জানান ফান্ড ম্যানেজার।

ওয়ার্কশপে স্বাগত বক্তব্যে ডিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত পদ্ধতি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে অর্থায়ন বান্ধব নয়। এ খাতের প্রসারে উদ্ভাবনী অর্থায়ন পদ্ধতির প্রয়োজন।

সূচনা বক্তব্যে বিজনেস ফাইন্যান্স ফুর দ্য পুওর ইন বাংলাদেশ (বিএফপি-বি) এর টিম লিডার ক্রিস্টফার অগাস্ট বলেন, অর্থায়নের ক্ষেত্রে অনেক আইন কানুন রয়েছে। এগুলো শিথিল করা দরকার যাতে সহজেই উদ্যোক্তারা অর্থায়নের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। ইউকে এইডের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্নদেশে অনুদান দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে অর্ন্তভূক্তিমূলক অর্থনেতিক কৌ্শলের আওতায় উদ্ভাবনী ব্যবসায় প্রকল্পে অনুদান দেওয়া হচ্ছে।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৯ মে ২০১৭