ব্যবস্থা নেয়ার আগেই সমস্যার সমাধান করুন: ব্যাংকারদের অর্থমন্ত্রী

সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আগেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের তাদের নিজস্ব সমস্যা সমাধান করতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটড (বিডিবিএল) মিলনায়তনে ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপকদের বার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মুস্তফা কামাল বলেন, তিনি ব্যবসায়ী জীবনে কখনও ঋণখেলাপি ছিলেন না, কিন্তু ব্যাংকিং খাতের বর্তমান অবস্থার কারণে তাকে এখন সংসদে গালি খেতে হচ্ছে।

‘সব ব্যাংক কর্মকর্তা খারাপ নয়, কিন্তু কিছু খারাপ ব্যাংক কর্মকর্তার জন্য ব্যাংক খাতকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির অন্যান্য খাতের মতো ব্যাংক খাতকেও সুদৃঢ় করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বৈশ্বিক খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ ভালো করছে বলেও জানান তিনি।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ এখন ৩৯তম। আমরা আশা করছি ২০২৭ সালের মধ্যে দেশ ২৪তম স্থানে পৌঁছে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বিশ্বের মর্যাদা অর্জন করব এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করব।’

মন্ত্রী বলেন, শিল্প খাত ও শিল্পে অবদান রাখার জন্য দেশে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ‘সুতরাং, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য সমাজে আপনাদের দায় রয়েছে।’

কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আরও অগ্রগতি করবে, কারণ তার সরকার জাতির সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘তাই সোনার বাংলা গড়তে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

এদিকে, ভবিষ্যতে ঋণখেলাপি যাতে বৃদ্ধি না পায় এ জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে ঋণ বিতরণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে রাব্বী।

তিনি বলেন, ‘এ খাতে বিডিবিএল গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাংক। আপনাদের এখানে ভালোভাবে কাজ করতে হবে। আপনাদের আমানত বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমানে ব্যাংক খাত প্রযুক্তি নির্ভর। দক্ষতা অর্জন করে আপনাদের প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নিতে হবে।’

ফজলে রাব্বি বলেন, এপ্রিলের পর একক অংকের সুদের হারের নীতি কার্যকর হবে, তখন বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।

‘বিডিবিএল শ্রেণিকৃত ঋণ ৫০ শতাংশ থেকে ৩৮ শতাংশে কমিয়ে এনেছে। খেলাপি ঋণ আরও হ্রাস হওয়া উচিত,’ যোগ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিডিবিএলের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মেজবাহউদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী আলমগীর এবং পরিচালক তরিকুল ইসলাম। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ