‘ব্রাজিলে আশানুরূপ রফতানিতে বাধা উচ্চশুল্ক’: বাণিজ্যমন্ত্রী

ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উচ্চশুল্ক হারের কারণে বাংলাদেশ ব্রাজিলে আশানুরূপ রফতানিতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

সচিবালয়ে বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা চানপস দ্য নবরেগার সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘ডব্লিউটিও-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্রাজিলের কাছ থেকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা পেতে পারে। বিশ্বের অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ এ সুবিধা প্রদান করলেও ব্রাজিল এখনো এ সুবিধা বাংলাদেশকে দিচ্ছে না।’

মন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘গত বছর বাংলাদেশ ব্রাজিলে ১৩৫ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করা হয়েছে ৯৫২ দশমিক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ ব্রাজিলের বাজারে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা পেলে এ বাণিজ্য ব্যবধান অনেক কমে আসবে। বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে প্রধানত চিনি, ভোজ্যতেল, তুলা আমদানি করে থাকে। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সিরামিক, ঔষধ, চামড়াজাত পণ্যসহ বেশ কিছু পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।’

তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, ডব্লিউটিও এর মহাপরিচালক পদে নির্বাচনের সময় গত বছর বাংলাদেশ ব্রাজিলের প্রার্থী রোবেরটো অ্যাজিভিডোকে সমর্থ দিয়েছিল। এবারও ব্রাজিল বাংলাদেশের সমর্থন চাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ব্রাজিল বাংলাদেশর ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশ ব্রাজিলের সমর্থন পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করবে বলে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে। এ সুবিধা পেলে ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যর রফতানি বাড়বে।’

আগামী মাসে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং চিলি সফর করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘ব্রাজিল বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদানের বিষয়ে ব্রাজিল সরকার সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করবে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। এজন্য সময় প্রয়োজন হবে। ব্রাজিল এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’

এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন ও অতিরিক্ত সচিব(এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলামও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সুত্র:দ্য রিপোর্ট