ব্লগার রাজীব হত্যায় হাইকোর্টের রায় ২ এপ্রিল

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় আগামী ২ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে। সোমবার (২৭ মার্চ) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এই দিন নির্ধারণ করেন।

এই মামলায় গত বছর ৭ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। চলতি বছর ৯ জানুয়ারি এই মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষ হয়। সেদিনই মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্ট।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির। আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও মো. আহসান উল্লাহ।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে রাজধানীর পল্লবীতে তার বাসার সামনে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিনের করা মামলায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা (পলাতক) ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে মাকসুর হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এ রায়ের পর মামলার নথিপত্র গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে আসে। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।