ভবিষ্যতে বিভিন্ন হুমকি মোকাবেলায় যৌথ প্রচেষ্টা জোরদারে সম্মত জি৭ স্বাস্থ্য প্রধানরা

ব্রিটেনে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে জি৭’র সদস্যভূক্ত দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন মহামারী ও অন্যান্য হুমকি মোকাবেলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা জোরদার করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। তবে তারা উন্নত দেশগুলোকে ভ্যাকসিন সরবরাহ জোরদার করার নতুন কোন প্রতিশ্রুতি দেননি। খবর এএফপি’র।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের অংশগ্রহণে গঠিত এ গ্রুপের র্ মন্ত্রীরা বিভিন্ন চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনের আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের একটি নতুন সনদ করার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন। আগামী সপ্তাহের জি৭ সম্মেলনের প্রাক্কালে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের অক্সফোর্ডে তাদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রীদের যৌথ এক ঘোষণায় বলা হয়, এই চুক্তির লক্ষ্য কোভিড-১৯ এবং ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু মোকাবেলায় ভ্যাকসিন ও ভেষজ ট্রায়ালের ফলাফল দ্রুততার সাথে শেয়ার করা।
ওই গ্রুপের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ সনদ অপ্রয়োজনীয় ডুপলিকেশন প্রচেষ্টা এড়াতে এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে কাজ করে না এমন ওষুধ বর্জন জোরদারে সহায়ক হবে।
মন্ত্রীরা দেশগুলোর পরীক্ষা এবং টিকাদান সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতিদানের বিষয়ে একত্রে কাজ করার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এ ‘যুগান্তকারি চুক্তির’ প্রশংসা করেন এবং বলেন, এ ধরনের চুক্তির ফলে ভবিষ্যতের বিভিন্ন হুমকি মোকাবেলার জন্য বিশ্বের ভাল প্রস্তুতি থাকবে।
এদিকে জি৭ দেশগুলো বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন শেয়ারিং কর্মসূচি চালাতে কোভ্যাক্সকে সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যরা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, এক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদে প্রায় ২০ কোটি ডোজ ঘাটতি রয়েছে।