ভাইরাল হওয়া তরমুজের জিলাপিতে ফুড কালার পেলেই ব্যবস্থা

খুলনায় ভাইরাল হওয়া তরমুজের তৈরি জিলাপির বিষয়ে মুখ খুললেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম।

তিনি বলেন, প্রথম শুনলাম খুলনায় তরমুজ দিয়ে জিলাপি তৈরি হচ্ছে। আগামী এক-দু’দিনের মধ্যে সেখানে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখবো। জিলাপিতে তরমুজের কোনো উপাদান আছে কি না, ভালো মানের তরমুজ ব্যবহার হচ্ছে কি না, কোনো প্রকার কেমিকেল ব্যবহার করে কি না সেটাও দেখা হবে। যদি ফুড কালার বা রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে তেরি করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খালিশপুরে চিত্রালী সিনেমা হলের সামনে আবদুস সোবহানের ‘ইসলামিয়া মিষ্টি ঘর’ নামের মিষ্টির দোকানে তৈরি হচ্ছে এ তরমুজের জিলাপি।

দোকানের মালিক আবদুস সোবহান রিপন জানিয়েছেন, ফেসবুকে কাঁচা আমের জিলাপি দেখে আমারও নতুন কিছু উদ্ভাবন করার ইচ্ছা হয়। তখন মাথায় আসে তরমুজের বিষয়টি। ১৩ এপ্রিল সকালে আমরা তরমুজের লাল অংশের জুস তৈরি করি। তার সঙ্গে জিলাপির অন্যান্য উপাদান ময়দা ও বেসন মিশিয়ে জিলাপি তৈরি করি।

তিনি বলেন, ১৩ এপ্রিল তরমুজের ১০ কেজি ও আমের ১৫ কেজি জিলাপি বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ১৪ এপ্রিল তরমুজের ২০ কেজি ও আমের ২৫ কেজি জিলাপি ও ১৫ এপ্রিল তরমুজের ২০ কেজি ও আমের ২৫ কেজি জিলাপি বিক্রি হয়েছে। এসবই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এ জিলাপির বিষয়ে কার্তিক মন্ডল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এসব জিলাপি ফুড কালার আর কেমিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হয়। সব ব্যবসার ধান্দা।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘বাজারে কবে লিচু আসবে, সেদিন আবার নতুন প্রতারণা শুরু হবে। আসলে এগুলোতে তেমন স্বাদ না। এগুলো কেনা মানে প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া।’

দোকান মালিক আবদুস সোবহান রিপন বলছেন, তিনি কোনো কেমিকেল ব্যবহার করছেন না। পুরো উপাদানে কোনো ফুড কালার নেই। খবর-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান