ভারতের পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনে বিপর্যয়ের মুখে বিজেপি

ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বড় ধরণের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।

বিজেপি রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারাতে চলেছে। দুটি রাজ্যেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ভালো ফল করছে।

আরেকটি রাজ্য মধ্যপ্রদেশে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।

অন্যদিকে মিজোরাম এবং তেলেঙ্গানায় এগিয়ে রয়েছে দুটি আঞ্চলিক দল।

ভারতের এই নির্বাচনের ওপর অনেকেই নজর রাখছেন। কারণ আর কয়েক মাস পরেই ভারতে জাতীয় নির্বাচন হতে চলেছে। ভারতের জনমতের অবস্থা সম্পর্কে এই নির্বাচনের ফল সম্পর্কে মোটামুটি একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজেপি সবচেয়ে বড় পরাজয়ের মুখে পড়েছে ছত্তিশগড় রাজ্যে। গত ১৫ বছর ধরে একটানা এই রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। সেখানে বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস।

ভারতীয় সময় বিকেল পৌণে চারটা পর্যন্ত পাওয়া ফল থেকে দেখা যাচ্ছে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস এগিয়ে আছে ৬১ আসনে, আর বিজেপি ২০ টিতে।

রাজস্থানে ৯৭টি আসনে এগিয়ে আছে কংগ্রেস, আর বিজেপি ৭৫টিতে। অন্যান্য দল এগিয়ে আছে ২৭টি আসনে। এ রাজ্যে বিজেপি গত ৫ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল।

তবে সবথেকে আগ্রহের জন্ম দিয়েছে হিন্দি বলয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মধ্যপ্রদেশের ভোট গণনা।

সেখানে সকালের দিকে কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে থাকলেও বেলা যত বেড়েছে, ততই কমেছে কংগ্রেস আর বিজেপির মধ্যে আসনের ফারাক। কোনও সময়ে বিজেপি কিছুটা এগিয়ে গেছে, কখনও আবার কংগ্রেস।

বিকেল পৌণে চারটায় কংগ্রেস ১০8টি আসনে আর বিজেপি ১১২টি আসনে এগিয়ে আছে। অন্যান্য দলগুলি এগিয়ে আছে ১৩টি আসনে।

তবে গণনা শেষ হতে আরও দেরী হবে বলেই নির্বাচন কমিশনের সূত্রগুলি জানাচ্ছে।

দক্ষিণ ভারতের নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানায় মেয়াদ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগেই ভোট হচ্ছে। সেখানে রাজ্য গঠনের জন্য দীর্ঘ আন্দোলনে সফল হওয়ার পরে ক্ষমতায় রয়েছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। তারা এবারও ভোটে স্পষ্ট জয়ের দিকে এগোচ্ছে। আর উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্য মিজোরামে স্থানীয় দল মিজো ন্যাশানাল ফ্রন্ট সরকার গড়ার পথে এগোচ্ছে।

আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই ছিল শেষ বড় নির্বাচন। তাই এটাকে সেমিফাইনাল বলেই মনে করা হচ্ছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ এর ফাইনালের আগে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ জুটি বেশ চাপে পড়ে গেলেন নিশ্চিতভাবেই।

তথ্যসূত্র-বিবিসি বাংলা

আজকের বাজার/এমএইচ