ভারতের সমুদ্র রেখা নিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের আপত্তি

বঙ্গোপসাগরে ভারতের পক্ষ থেকে যে সমুদ্ররেখা (বেসলাইন) নির্ধারণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে জাতিসংঘে আপত্তি তুলেছে বাংলাদেশ। ১৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে জাতিসংঘে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

২০১৪ সালে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্র সীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত রায় দেয়। সেই রায় অনুযায়ী সমুদ্রে মহীসোপানের দাবি নির্ধারণ করে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের দাবির বিপক্ষে ভারত চলতি বছরের এপ্রিলে জাতিসংঘে চিঠি দেয়। ভারতের সেই চিঠির বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে আপত্তি তুলেছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘ মহাসচিবের বরাবর পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ উল্লেখ করেছে, ১৯৭৬ সালে ভারত সরকার সমুদ্র বিষয়ক টেরিটোরিয়াল ওয়াটার ও মেরিটাইম জোন আইন প্রণয়ন করে। এ আইন প্রণয়নের ৩৩ বছর পর ২০০৯ সালে ভারত ভিত্তিরেখা নির্ধারণের জন্য সেই আইনে সংশোধনী আনে। ২০০৯ সালের সংশোধনীতে ভারত ‘স্ট্রেট লাইন বেসলাইন’ পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যেটা জাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিষয়ক কনভেনশনের ৭ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

২০১৪ সালের সালিশি আদালতের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ সমুদ্রে মহীসোপান নির্ধারণ করেছে। সেই রায়ের পর দুই দেশের সমুদ্রসীমায় আর কোনো বিরোধ থাকতে পারে না বলে মনে করে বাংলাদেশ। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান