ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ হাজার ছাড়াল, মৃত ১,৬৯৪

ভারতে এ পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৩৯১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৬৯৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৫৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১২৬ জন মারা গেছেন।

এদিকে, ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এ ঘোষণা দিয়েছেন।

দেশজুড়ে চলতে থাকা বর্তমান লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৭ মে। কিন্তু তেলেঙ্গানার পরিস্থিতি বিবেচনায় গতকাল সন্ধায়, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে হায়দ্রাবাদে। কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে তেলঙ্গনায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, মানুষ চাচ্ছে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হোক। আমি আমার সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছি।

এদিকে, ভারতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। রাজ্যটিতে এপর্যন্ত ১৫ হাজার ৫২৫ জন আক্রান্ত এবং ৬১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ধারাবিতে।

ধরাবির বাঙালি বাসিন্দা আহমেদ হাসান ইমরান আজ (বুধবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, এখানেই এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি এবং বেশিরভাগ লোকজন দরিদ্র হওয়ায় সমস্যা প্রকট হয়েছে। অনেক মানুষের বাসায় নিজস্ব পায়খানা, বাথরুম নেই। তাদের সরকারি বাথরুমে যেতে হয় যেখানে ঠিকমত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্ভব হয় না। ফলে এখানে সংক্রমণের হার বেশি। বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দারা এখানে সেলাই কাজ থেকে শুরু করে নানারকম কাজ করেন। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। কিন্তু কাজকর্ম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা অর্থনৈতিকভাবে গভীর সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন। অনেকেই রোজা আছেন।

তিনি বলেন, কেউ কেউ আবার প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ভয়ে রোজা ভেঙে ফেলেছেন। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে রোজা শেষে ঈদের জামাত হবে না বলেই মনে হচ্ছে। আমাদের সকলের এখন একটাই প্রার্থনা করোনা মুক্ত হোক ভারতসহ গোটা পৃথিবী।
সূত্র:পার্সটুডে