ভাল বোলিং করাটা ব্যাটিংয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস যোগায়

দেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেছেন যখনই ভাল বোলিং করেন তখনই তিনি ব্যাটিংয়ে আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন এবং যে কারণে তিনি সব সময়ই বোলিংয়ে ভাল করতে চেষ্টা করেন।

চলমান ন্যাশনাল ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ভাল বোলিং করে ছয় উইকেট শিকারের পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।

কাঁধে ইনজুরির পর থেকেই রিয়াদের বোলিং জাতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের একটা বড় দু:শ্চিন্তার কারণে পরিণত হয়েছে। যে ইনজুরির কারণে তিনি বোলিং থেকেও দূরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

চলমান এনসিএলের প্রথম ম্যাচ শেষে আজ রোববার মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘কাঁধে ইনজুরির কারণে আমি সাত মাস বোলিং করতে পারিনি। সুতরাং আমি কিছু ওভার বোলিং করার চেষ্টা করেছি। যার মাধ্যমে আমি নিজের বোলিংকে ঝালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি, কারণ সেটাই ছিল আমার লক্ষ্য। আমি সব সময় বিশ্বাস করি ভাল বোলিং করতে পারলে আমার ব্যাটিংয়েও সেটি আত্মবিশ্বাস যোগাবে।’

জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর নির্দেশনার কারণে সবাই ভাল করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে উল্লেখ করে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছে দু’টি বা তিনটি ম্যাচে খেলতে হবে। কোচের নির্দেশনার কারণে সবাই চাইছে নিজেদের সেরাটা খেলতে। জাতীয় দল বেশ কিছু দিন ধরেই ক্রিকেটের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু যেহেতু ভারত সিরিজটি সন্নিকটে তাই আমরা আরো বেশি মনোযোগী। এটি একটি বড় সিরিজ। তাই জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়রাই চেস্টা করছে ভাল পারফর্মেন্স দিয়ে জাতীয় দলের স্কোয়াডে ঠাঁই নিতে।’

মাহমুদুল্লাহ বলেন, এনসিএিলের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাকাতে পারলে তিনি খুবই খুশি হতেন। তবে ৬৩ রান করতে পেরেছেন তিনি। জাতীয় দলের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বলেন, ‘শতক হাঁকাতে পারলে আমি খুবই খুশি হতাম। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে বোলাররাই পিচ থেকে বেশি সহযোগিতা পায়। তবে আমি চেষ্টা করেছি ক্রিজে টিকে থাকার এবং সুযোগ পেলেই কাজে লাগিয়ে রান তোলার।’

সবাই অভিযোগ করেন যে এনসিএলকে গুরুত্বসহকারে নেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে টাইগার দলের গুরুত্বপূর্ণ এই ক্রিকেটারের মতে ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির কারণেই তারা এই টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পান না। মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘মাঝপথে অনেককেই জাতীয় দলে চলে যেতে হয়। আমরা এই টুর্নামেন্টে খেলার পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পাই না। তবে যখনই সুযোগ পাই আমরা এখানে খেলার চেষ্টা করি।

বিষয়টি এমন নয় যে, আমরা এনসিএল খেলতে চাই না। তবে আমাদেরকে সঠিক মাত্রায় বিশ্রামও নিতে হয়। এর পর যখন সুযোগ পাই আমরা ঘরোয়া লীগে খেলার চেষ্টা করি। সবাই চেষ্টা করে। আবার অনেকেই রান করে। আবার কেউ কেউ পারে না। তবে আমি নিশ্চিত, যারা পারে না তারা সেটি নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে। এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবার জন্য পরের ম্যাচে রান তোলার চেষ্টা করে।’

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান