মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশ

সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী মদিনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে দশম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘মাহেরজানে বাংলাদেশ।’
একই ছাদের তলায় বিশ্ব এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গত ১৮ মে বুধবার এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মদিনার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সউদ বিন খালিদ আল ফয়সাল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী যোগ দেন। এ ছাড়া জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হকও ছাত্রদের এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজ দেশের সংস্কৃতি, খাবার, সামাজিক ঐতিহ্য, লোকশিল্প ও দেশীয় পোশাক প্রদর্শনের আয়োজন করে। প্রায় ৮০টি দেশের শিক্ষার্থীরা উৎসবে অংশগ্রহণ করছে। প্রদর্শনী শেষে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের স্টল ও অন্যান্য আয়োজনের ওপর নির্ভর করে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পোশাক দিয়ে বর্ণিল সাজে বাংলাদেশ স্টল সাজিয়েছে। জাবেদ পাটোয়ারী এ সময় বাংলাদেশ স্টল পরিদর্শন করেন ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, এ উৎসবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া সৌদি আরবসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও বৃদ্ধি পাবে।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের ছাত্রদের বৃত্তির সংখ্যা, বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি ছাত্রদের বৃত্তি বৃদ্ধির বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
মদিনার ডেপুটি গভর্ণর বাংলাদেশ স্টল পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত তার হাতে জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র আরবি অনুবাদ বইটি তুলে দেন। ডেপুটি গভর্ণর প্রিন্স সউদ বিন খালিদ আল ফয়সাল রাষ্ট্রদূতের সাথে মতবিনিময় করেন।
পরে, রাষ্ট্রদূত সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের স্টল পরিদর্শন করেন ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সামগ্রিক অবস্থার বিষয়ে ছাত্রদের সাথে আলোচনা করেন।
মদিনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিকরা যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে পায় ১৭০টির ও বেশি দেশের শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় চার শতাধিক।