মাগুরায় উচ্চ ফলশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে

জেলায় উচ্চ ফলশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আওতাধীন বাংলাদেশ গম গবেষণা ইনস্টিটিউট(বারি)উদ্ভাবিত গমের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের গম চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করায় এ বছর উচ্চফলনশীল গমের চাষ বেশি হয়েছে। মাঠে গমের অবস্থা ভালো থাকায় ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। এ বছর জেলায় ৪ হাজার ৬৯০হেক্টর জমিতে গম চাষ চাষ করেছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজর ৫২০ হেক্টর, শ্রীপুরে ১ হাজর ৮৯৫ হেক্টর, শালিখায় ২৭৫ হেক্টর এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে ১৫ হাজার ৪৭৭ মেট্রিকটন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর ৭০ শতাংশ জমিতেই উচ্চ ফলনশীল জাতের গমের আবাদ হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ জমিতে স্থানীয় জাতের গমের চাষ হয়েছে।

এ মৌসুমে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও তাপ সহনশীল বারি গম-৩০,৩২ ও ৩৩ নামের উচ্চফলনশীল জাতের গম চাষ হয়েছে। এর পাশাপাশি উচ্চফলশীল বারি গম-২৫, ২৬, ২৮ জাতের উচ্চফলশীল গমের আবাদ ছাড়াও এ বছর শতাব্দী, সৌরভ ও প্রদীপ নামের বিভিন্ন জাতের গমের পাশাপাশি স্থানীয় জাতের গম চাষ হয়েছে। বিশেষ করে গম চাষের সময় রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য গমের বীজ শোধন করে নেয়ার জন্য কৃষকদের পারামর্শ দেয়ায় বীজ বাহিতো রোগের সংখ্যা কমেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা সময় মতো গম ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের ছাত্রাক নাশক ওষুধ স্প্রে করার ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়নি। গমের আবাদ ভালো হয়েছে। একর প্রতি ৪০ মণ গম ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছে কৃষকরা।

সদর উপজেলার পারনান্দুয়ারী গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি ৩৩ শতক জমিতে কৃষি বিভাগের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল বারি গম-৩২ জাতের প্রদর্শনী প্লট করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষেত পরিচর্যা করায় গম ভালো হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় প্রায় ১৮ মণ গম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। একই উপজেলার হোগোল ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক বাবলু জোয়ার্দ্দার জানান- চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তিনি ৩৩ শতক জমিতে উচ্চফলনশীল বারি গম-৩৩ জাতের গম চাষ করেছেন। মাঠে ফসলের অবস্থা ভালো। চাষকৃত জমিতে ১৫ থেকে ১৮ মণ গম পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন বলেন, জেলার চার উপজেলায় উচ্চ ফলশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। চলতি মৌসুমে গমে রোগবালাই তেমন হয়নি। বিশেষ করে জেলায় এ বছর গমের জন্য ক্ষতিকর ব্লাস্ট রোগ দেয়া না দেয়ায় মাঠে সফলের অবস্থা ভালো। কৃষকরা গমের ভালো ফলন পাবে বলে আশা করা করছেন তিনি। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান