মাদক ইস্যুতে আলোচনায় তিন্নি, দিলেন দাঁতভাঙা জবাব

বর্তমানে বেশ আলোচনায় আছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনি। মূলত তাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর গত কয়েকদিন আগেই মাদক মামলায় গ্রেফতার হন এই আলোচিত চিত্রনায়িকা। বর্তমানে রিমান্ডে আছেন তিনি।

পরীমনির এই ঘটনাকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোবিজ অঙ্গনের অন্ধকার দিক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সেই চর্চার মাঝেই উঠে এলো মডেল-অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নির নাম। কারণ একটা সময় তিনিও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে।

তবে শোবিজের রঙিন দুনিয়া ছেড়ে তিন্নি হয়ে গেছেন ঘরণী। বসবাস করছেন কানাডায়। সেখানে তিনি আপাদমস্তক একজন সংসারী নারী, একজন মা। আর তাই মাদক ইস্যুতে পুনরায় তার নাম নিয়ে চর্চা করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন প্রতিবাদ। তিন্নি লিখেছেন, ‘২০১০ সাল থেকে একই কাসুন্দি। কী হলো কীভাবে হলো- এসব চলছে, হায়রে মানসিকতা! সময়ের সঙ্গে মানুষের উন্নতি হয়। আর আমাদের ওই একই ঘ্যানঘ্যানানি আর ভালো লাগে না।’

নিজের আমূল বদলে ফেলেছেন তিন্নি। সেই বিষয়টা ইঙ্গিত করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘তখনকার আমি আর এখনকার আমির মধ্যে পার্থক্য হলো- এখন আমি সুন্দর দুটি কন্যা সন্তানের মা। তখন ২১-২২ বছর বয়সী তিন্নি মডেল-অভিনেত্রী ছিল। আর এখন ৩৭ বছর বয়সী নারী ও একজন মা। আমি আগের মতোই মনখোলা ও আশাবাদী মানুষ। এখনো প্রাণ ভরে হাসি, যে কোনো পছন্দের গানের সঙ্গে নেচে উঠবো, মানুষকে রেঁধে খাওয়াবো। কারো কষ্টের সময়ে পাশে দাঁড়াবো। কষ্ট পেয়েছি তাই কষ্টের মূল্য বুঝি।’

আর অভিনয় করবেন না জানিয়ে তিন্নি লেখেন, “আমি আর অভিনয় করছি না। সুতরাং একজন মাকে এসব চুলকানি থেকে বাদ দেওয়া যায় না! আমরা সবাই তো কারো সন্তান, আমারও তো মা-বাবা আছে নাকি? আমাদের নিয়ে অন্য মানুষ খারাপ বললে, আমাদের সন্তান, মা-বাবাও কষ্ট পান। এটাই কি স্বাভাবিক নয়?’ শুনেছিলাম, ‘মানুষের হায় (অভিশাপ) লাগলে মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যায়’। আমার কথা বলছি না, আমাদের বাবা-মা, সন্তানদের কষ্টের ‘হায়’ লাগার কথা বলছি। আমরা কি পারি না ভালোভাবে-ভদ্রভাবে সবকিছু উপস্থাপন করতে? দয়া করে নিজে বাঁচুন অন্য কেউ বাঁচতে দিন! আসুন সবাই আবার মানুষের মতো কাজ করি।”

সবশেষে সন্তানদের জন্য দোয়া চেয়ে তিন্নি লিখেছেন, ‘জীবনে ভণ্ডামি করি নাই। করলে হয়তো অনেক ভালো জীবন হতে পারতো। যাই হোক, সবাই আমার ও আমার সন্তানদের জন্য দোয়া, আশীর্বাদ করবেন, যেন দিন শেষে সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করতে পারি। আমি কি ভুল বললাম?’

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শোবিজে পা রাখেন তিন্নি। এরপর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ধারাবাহিক ‘৬৯’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন। বহু দর্শকপ্রিয় নাটকের পাশাপাশি তিনি সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন। ২০০৬ সালে অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলকে বিয়ে করেছিলেন তিন্নি। সংসারটি ভেঙে যাওয়ার পর ২০১৪ সালে আদনান হুদা সাদকে বিয়ে করেন এ অভিনেত্রী। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান