মাল্টার বাগানে স্বচ্ছলতার দিশা কৃষক আশরাফুলের

মাল্টার বাগানে স্বচ্ছলতার দিশা দেখতে শুরু করেছেন কৃষক আশরাফুল ইসলাম (৪২)। তার ১৬ শতক জমিতে ৪৮টি গাছে তৃতীয় বারো মতো ফলন পেয়েছেন ১ হাজার ২০০ কেজি। যা বাজারে বিক্রি করে আয় করেছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

ওই কৃষকের বাড়ি জেলার জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপাঠ গ্রামে। তিনি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

আশরাফুল ইসলাম জানান, উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে তিন বছর আগে বারি-১ জাতের ৬০টি মাল্টার চারা নিয়ে লাগিয়েছি ১৬ শতক জমিতে। কিছু চারা নষ্ট হওয়ার পর ৪৮টি গাছ দ্বিতীয় বছর থেকে ফল দিতে শুরু করে। এবার তৃতীয় বছরে ওই ৪৮টি গাছে ফল পেয়েছেন ১ হাজার ২০০ কেজি। প্রতি কেটি ১৩০ টাকা দরে মাল্টা বিক্রি করেছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার। এমন আয়ে আরও দুই বিঘা জমিতে ২৫০টি মাল্টা গাছের চারা লাগিয়েন তিনি। এখন মাল্টার চাষ করে পরিবারের স্বচ্ছললতার দিশা দেখতে শুরু করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, “অন্যান্য ফসলের চেয়ে মাল্টা চাষে দ্বিগুণ আয় হচ্ছে। তাই মাল্টা চাষেই পরিবারের স্বচ্ছলতার দিশা দেখছি আমি।”

পরিবারের কাজের পাশাপাশি মাল্টার ওই বাগানের ব্যবস্থাপনার কাজে সময় দিচ্ছেন আশরাফুলের স্ত্রী মনি আক্তার (৩৫)। তিনি বলেন, “অর্গানিক পদ্ধত্তিতে বাগানের মাল্টা চাষ করা হচ্ছে। একারণে ফল খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মাল্টার স্বাদে এবারে অনেকে বাগান থেকে বারবার কিনে নিয়ে গেছেন। মানুষের এমন সাড়া পাবো আমরা আগে ভাবতে পানিনি। এমন সাড়ায় বাগানের পরিধি বাড়াতে শুরু করেছি আমরা।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, “উপজেলাটিতে পরীক্ষামূলক কিছু মাল্টা বাগান করা হয়েছে। সবগুলোতে মোটামুটি কৃষকেরা সফল হয়েছে। এ এলাকার মাটি অম্লযুক্ত যা মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। ফলের আকার রং ও মিষ্টতার কারণে বারি-১ মাল্টা চাষাবাদের জন্য ভাল। অন্য কোন ফসল বা ফল আবাদ করে এত দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। যা মাল্টা বাগান করে সম্ভব।”