মিয়ানমারে সহিংসতায় ১৮ জন নিহত, জাতিসংঘ দূতের ঐক্যের আহ্বান

মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত ক্রিস্টিন স্করেনার বার্জানার দেশটিতে অব্যাহত রক্তক্ষয়ী সহিংসতার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশে এক দিনে কমপক্ষে ১৮ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পর রোববার রাতে তিনি এ নিন্দা জানান। গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ দিন ছিল রক্তক্ষয়ী দিনগুলোর অন্যতম। খবর এএফপি’র।
জাতিসংঘ দূত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মিয়ানমারের জনগণ ও তাদের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার প্রতি সংহতি জানাতে, আঞ্চলিক দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাদের প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের সংযত হওয়ার আহ্বান উপেক্ষা করে চলছে উল্লেখ করে বার্জানার বলেন, তিনি মিয়ানমারে বহু মানুষকে হত্যার হৃদয়-বিদারক ঘটনা, বিক্ষোভকারীদের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন ও কারাবন্দিদের ওপর নির্যাতন করার খবর শুনেছেন।
তিনি বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর এই চলমান বর্বরতা- শান্তি ও স্থিতিশীলতার যে কোন ধরনের সম্ভাবনার মারাত্মক ক্ষতি করছে। তাদের এ বর্বরতা থেকে হাসপাতালের কর্মীরাও বাদ যায়নি। তারা সরকারি অবকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি করেছে।’
রোববার রাতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ইয়াঙ্গুন শহরের ঘনবসতিপূর্ণ দু’টি এলাকায় সামরিক আইন জারি করেছে।
মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা অং সান সুচি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ব্যাপক গণ-বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
রোববারের সহিংসতার পর নাটকীয়ভাবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।