‘মৃত ভেবে ব্রিজ থেকে ফেলে দেয়া হয় পায়েলকে’

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর খাল থেকে সোমবার (২৩ জুলাই) সকালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশীদ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পায়েলের মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে বাসচালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে সুপারভাইজার ফয়সাল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে গজারিয়া থানা পুলিশ। আটকরা হলেন- হানিফ পরিবহনের বাসচালক জালাল, সুপার ভাইজার ফয়সাল ও বাসচালকের সহকারী জনি।

কোর্ট ইন্সপেক্টর হেদায়তুল ইসলাম জানান, বুধবার ফয়সালকে আমলি আদালত গজারিয়া কোর্টে হজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ফয়সাল বলেছেন, ‘ঘটনার দিন রাতে বাস যানজটে আটকা পড়লে বাসযাত্রী পায়েল প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাস থেকে নামেন। পরবর্তীতে যানজট নিরসন হলে বাসটি দ্রুত যাওয়ার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় বাসের দরজায় সজোরে ধাক্কা লাগে পায়েলের। এতে পায়েলের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বাসচালক, চালকের সহযোগী ও সুপারভাইজার পায়েলকে মৃত ভেবে ব্রিজ থেকে ফেলে দিয়ে চলে আসে।’

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই গ্রামের বাড়ি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে হানিফ পরিবহনের বাসে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পায়েল। পথে রাত ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় গিয়ে যানজটে পড়ে বাসটি। এ সময় বাস থেকে নিচে নামেন পায়েল। এরপর থেকে পায়েলকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এই ঘটনায় পায়েলের স্বজনরা বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছিলেন বলে জানান ওসি।

আজকের বাজার/আরআইএস