যত দ্রুত সম্ভব ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট চালুর জন্য জার্মানির সাথে যে চুক্তি সই হয়েছে সে অনুযায়ী প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৫ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস হেনরিক প্রিনজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে জননেত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। খবর ইউএনবি।

ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গত ১৯ জুলাই জার্মানির সাথে জিটুজি পদ্ধতিতে চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। জার্মান কোম্পানি ভেরিডোসকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ৩৪ কোটি ইউরোর এ চুক্তির আওতায় পুরো ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন প্রক্রিয়া জড়িত রয়েছে, যার মেয়াদ হবে ১২ বছর।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। কিন্তু এখানে সমস্যা হলো- যদি সরকার পরিবর্তন হয় তাহলে নতুন সরকার এসে আগের সরকারের নেয়া সব উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করে দেয়।

শেখ হাসিনা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে এখানে তার সাড়ে তিন বছরের কাজের প্রশংসা করেন এবং তার মাধ্যমে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে শুভেচ্ছা জানান।

জার্মান রাষ্ট্রদূত তার দায়িত্ব পালনকালে পাওয়া সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

ড. প্রিনজ বলেন, তিনি এখানে খুব চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে খুব ভালো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য জার্মানির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত। সেই সাথে তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার/এমএইচ