যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউনের বিরুদ্ধে বাড়ছে কর্মহীনদের বিক্ষোভ, ব্রিটেনে পিপিই সংকট

করোনার ভয় দমিয়ে রাখতে পারছে না ক্ষুধার জ্বালা। যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে কর্মহীন মানুষের বিক্ষোভ। কর্মসংস্থান বাড়াতে অভিবাসন স্থগিতের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইউরোপে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ছাড়া বেশিরভাগ দেশে লকডাউন শিথিল হওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জীবনযাত্রা। এর মধ্যেও বিশ্বজুড়ে থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার।

করোনার ধাক্কায় যুক্তরাষ্ট্রে কর্মহীন ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ। পেটের দায়ে লকডাউন তুলে নিতে, রাজপথে টানা বিক্ষোভ করছেন, মিজৌরি, অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়াসহ অন্তত ১০ রাজ্যের বাসিন্দা।

এক বিক্ষোভকারী বলছেন, ‘প্রেসিডেন্ট যেহেতু বলেছেন ৯৮ ভাগ মানুষই সুস্থ হয়েছেন। তাহলে এখন এই লকডাউনের মানে কী? এটার কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে।’

আরেক বিক্ষোভকারী বলছেন, ‘এখন লড়াই চলছে মূলত সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদের মধ্যে। আমাদের দুর্দশা নিয়ে কেউই ভাবছে না।’

যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাবনাজুড়ে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জানান, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্বাহী আদেশে সই করতে যাচ্ছেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ধরুন, আমি আপনাদের হাতে একটি ট্যাবলেট তুলে দিলাম এবং মহামারী কেটে গেল, তখন তারা বলবে ট্রাম্প অসাধ্য সাধন করেছেন। এটি রাজনীতির ভাষ্য। এই বিক্ষোভের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কারণ এক মাস ধরে আমি হোয়াইট হাউজে।’

যুক্তরাজ্যে পিপিই সংকটে আছেন চিকিৎসকরা। তাই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাসভবনের সামনে দেখা মেলে এমন বিক্ষোভ।

বিক্ষোভকারী বলছেন, ‘যে সব চিকিৎসক, নার্স প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। যথেষ্ট সুরক্ষা সামগ্রী থাকার ফাঁকাবুলি দিচ্ছে সরকার। অথচ আমার মতো অন্তঃস্বত্ত্বা অনেক নারী ঝুঁকি নিয়েই ফ্রন্টলাইনে কাজ করছেন।’

সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে রমজানেও নামাজসহ সব ইবাদত স্থগিত করা হয়েছে। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশটির সব মসজিদে জামাতে নামাজ স্থগিত করা হয়।

লকডাউন শিথিলের পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্বাভাবিক হচ্ছে জীবনযাত্রা। প্রায় ২ মাস পর ইতালিতে খুলেছে বইয়ের দোকানসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

করোনাকে এক নম্বর শয়তান আখ্যা দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস সতর্ক করেন, চূড়ান্ত বিপর্যয় এখনো বাকি।

তিনি বলেন, লকডাউন দেশের ভেতরে কিছুটা প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হচ্ছে ঠিকই, তবে এটাই একমাত্র পন্থা হতে পারে না। সব দেশকে অবশ্যই এই ভাইরাস শনাক্তে, পরীক্ষা, আইসোলেশন ও রোগীর পরিচর্যাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

সব রাষ্ট্রের জন্য কোভিড নাইনটিনের ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে সমান সুযোগ রেখে প্রস্তাব পাশ হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে।