যুদ্ধাপরাধের দায়ে কিশোরগঞ্জের দুজনের মৃত্যুদণ্ড

আজকেরবাজার ডেস্ক: একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ মোহাম্মদ হুসাইন ওরফে হোসেন ও মুহাম্মদ মোসলেম প্রধানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার, বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।
দুই আসামির মধ্যে মোসলেম গ্রেফতার রয়েছেন। মামলার শুরু থেকে পলাতক হুসাইন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ৭ মার্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন কৌঁসুলি তুরিন আফরোজ। মোসলেমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান। তিনি হুসাইনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে লড়েন। দুই আসামির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। গত বছরের ৯ মে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুই আসামি একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তাদের মধ্যে হুসাইন নিকলি থানা এলাকায় ‘রাজাকার দারোগা’ হিসেবে এবং মোসলেম প্রধান নিকলি ইউনিয়নে রাজাকার কমান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তারা তখনকার কিশোরগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত ও যৌথভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন বলে এ মামলার বিচারে উঠে এসেছে।
হুসাইনের বড় ভাই সৈয়দ মো. হাসান ওরফে হাছেন আলীকেও যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃতুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। ভাইয়ের মত হাছেন আলীও পলাতক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, “রায়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। সফলভাবে কাজ করতে পেরেছি। দুটো মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে, একটি আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অপর তিনটি অভিযোগে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে।
আজকেরবাজার/আরআর/এলকে/১৯ এপ্রিল,২০১৭