রংপুরের পীরগঞ্জে সাথী ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক

জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার কৃষি জমিগুলোতে এখন অল্প খরচে অধিক হারে চাষ হচ্ছে সাথী ফসল। কৃষিবিদের পরামর্শে চাষিরা মিলেমিশে সাথী ফসলের চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই। ফলে কম খরচে কৃষক বেশী মুল্যের ফসল ঘরে তুলতে পারছেন।

পীরগঞ্জ উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মৃত ওহাব আলীর ছেলে রেজাউল করিম (সাদা) মিয়া জানান, তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে প্রথম পর্যায়ে তুলার আবাদ করেন। উক্ত জমি থেকে ৩০ মন তুলা বিক্রি করে আবারও ওই জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেন। হালচাষের বাড়তি কোন খরচ নেই। কম খরচে মিষ্টি কুমড়ার চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। হাইব্রিড মিষ্টিকুমড়া। একদিকে যেমন স্বাদ ঠিক তেমনি বাজারে চাহিদাও অনেক। তিনি আরও বলেন- তুলার আবাদে ভালো ফলন পেয়েছে পাশাপাশি ওই জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। তবে অধিকাংশ জমিতে একবার হালচাষ করে এখন ২ থেকে ৩টি ফসল ঘরে তুলছে আগ্রহী তিনি।

পীরগঞ্জ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কটন ইউনিট অফিসার খাদেমুল বাসার বলেন, তারা অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এখন কৃষকরা তুলা চাষের পাশাপাশি সাথী ফসলের চাষ করবেন। এছাড়াও তিনি আরও বলেন উপজেলার দু’টি ইউনিটের অধীনে এ বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হচ্ছে। কৃষক তুলা চাষ করে এখন ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া এবং চাল কুমড়ার চাষ করছেন। তবে কৃষকদের যেমন তুলা চাষের আগ্রহ বাড়ছে সেই সাথে একই জমিতে রেলী বা সাথী ফসলের চাষও বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, কৃষিপণ্যর ভাল দাম থাকায় আমাদের কৃষকরা একই সাথে দুই বা ততোধিক ফসল সাথী ফসল হিসেবে আবাদ করে লাভবান হচ্ছে। যেমন পটলের সাথে আদা বা হলুদ, কলার সাথে আদা বা হলুদ, আলুর সাথে মিষ্টি কুমড়া, শষা বা করলার সাথে আদা বা হলুদ, ভুট্টার সাথে সুর্যমুখী লাভজনক। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান