রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার বা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার; যা গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি।

রোববার ৩০ জুলাই সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও অনুমোদন’ সংক্রান্ত সভায় এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, সরকার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, জাহাজ, ফার্নিচার রপ্তানিতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য রপ্তানিতে বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা আন্তরিক হলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো সমস্যা হবে না।

গত অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ দশমিক ৮১ শতাংশ তৈরি পোশাক, ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ চামড়া, ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ পাট এবং ২ দশমিক ২৯ শতাংশ হোম টেক্সটাইল খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে। অন্যান্য খাতের পণ্য রপ্তানিতেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদার, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্রাচার্য্য, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুলাই মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। যা এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের তুলনায় ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩ হাজার ৪২৫ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৮১৪ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এই খাতের রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতের পণ্য রপ্তানিতে ১ হাজার ৩৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে ১ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

এছাড়া বছরের ব্যবধানে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বাড়ার তালিকায় রয়েছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, হোম টেক্সটাইল পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, রাবার, প্লাস্টিক পণ্য, ক্যামিকেল পণ্য ইত্যাদি।

আজকের বাজার: আরআর/ ৩০ জুলাই ২০১৭