রাজধানীতে অফিস,আদালতসহ দোকানপাট খুলেছে, চলছে গণপরিবহন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত টানা কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর আজ বুধবার সকাল থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালতসহ বিপনি বিতান ও পাইকারি ও খচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে।

খুলেছ দোকানপাট, চলছে গণপরিবহন। সরকারী-বেসরকারী অফিসে স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম শুরু হয়েছে। আগের চিরচেনা রূপে ফিরছে রাজধানী ঢাকা। আজ থেকে লকডাউন শিথিল হওয়ায় ভোর থেকেই রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় ও যানবাহন চলাচল বাড়তে থাকে। শুধু গণপরিবহনই নয়, আজ থেকে ছোটবড় দোকানপাট ও শপিংমল মার্কেট খুলে দেয়ার ফলে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় বের হয়েছেন।

বুধবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে, লকডাউন শিথিলের প্রথম দিন সকালেই রাজধানী আগেররূপে ফিরে এসেছে। বিভিন্ন রাস্তাঘাটে রিকশা, সাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যান গাড়ি, কাভার্ডভ্যান, ছোট-বড় বাস, জিপগাড়ি ও মাইক্রোবাসসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। আজ ভোর থেকেই বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা দেখা যায়। সকালের দিকে সরকারি-বেসরকারি অফিসগামীদের ভিড় থাকায় বেশ কয়েকটি রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় ট্রাফিক পুলিশকে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যানজট সামাল দিতে দেখা যায়।

জীবন ও জীবিকার তাগিদে লকডাউন শিথিল করা হলেও করোনার সংক্রমণরোধে শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বাইরে বের হওয়া অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও কিছু কিছু মানুষ মুখে মাস্ক পরিধান না করেই বের হয়েছেন।

‘কঠোর’ বিধিনিষেধের পর ১১ আগস্ট (বুধবার) সকাল থেকে শর্তসাপেক্ষে অফিস ও গণপরিবহনসহ সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রোববার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।

সড়ক, রেল ও নৌপথে আসনসংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন বা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহনসংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

এ ছাড়া শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। সব শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে। আর খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল আটটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা যাবে। আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। গণপরিবহন, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান