রানের পাহাড় ইংল্যান্ডের সামনে

৩৮৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ২ উইকেটে ১৮।

৫ উইকেটে ২০৫ রান হাতে নিয়ে চতুর্থদিন সকালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। শেষ ৫ উইকেটে ৯৬ রান যোগ করে এদিন প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে যায় ইংরেজরা। ১৭ রানে স্টার্কের ডেলিভারিতে ক্লিন বোল্ড হয়ে দিনের প্রথম উইকেটটি ছুঁড়ে দিয়ে আসেন জনি বেয়ারস্টো। ২৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বেন স্টোকস। এরপর জোস বাটলারের ৪১ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানের গন্ডি পেরোতে সক্ষম হয় আয়োজকরা।

প্রথম ইনিংসে ১৮৬ রানে এগিয়ে থেকে যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রাথমিকভাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় অস্ট্রেলিয়া। ৪৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান প্রথমসারির চার ব্যাটসম্যানরা। বিপদে ফের একবার চওড়া হয়ে ওঠে চলতি অ্যাশেজের নায়ক স্টিভ স্মিথের ব্যাট। প্রাক্তন অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গত করেন ম্যাথু ওয়েড। পঞ্চম উইকেটে স্মিথ-ওয়েডের ১০৫ রানের মূল্যবান পার্টনারশিপে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে অজিরা। প্রথম ইনিংসে কেরিয়ারের তৃতীয় দ্বি-শতরান হাসিল করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সময়োপযোগী অর্ধশতরান করেন স্মিথ। ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯২ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে যখন তিনি আউট হন, অস্ট্রেলিয়ার লিড তখন ৩২৫ ছাড়িয়েছে।

৩৪ রানের দামী ইনিংস খেলে আর্চারের শিকার হন ওয়েড। শেষ অবধি ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন দলনায়ক টিম পেইন, ৩ রানে অপরাজিত থাকেন মিচেল স্টার্ক।

চতুর্থ ইনিংসে ৩৮৩ রানের বড় লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্যাট কামিন্সের বিধ্বংসী স্পেলে শুরুতেই ২ উইকেট খুঁইয়ে বসে ইংল্যান্ড। স্কোরবোর্ডে কোনও রান ওঠার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার রোরি বার্নস ও অধিনায়ক জো রুট। পরপর দু’বলে ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান অজি পেসার। শেষ অবধি ২ উইকেট হারিয়ে ১৮ রান তুলে এদিনের মতো খেলা শেষ করে ইংল্যান্ড। ১০ রানে জো ড্যানলি ও ৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন জেসন রয়। সবমিলিয়ে পঞ্চমদিন বড় কোনও অঘটন না ঘটলে অ্যাশেজ নিজেদের দখলে রাখা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা অস্টেলিয়ার। তবু পঞ্চমদিন ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের মরণকামড় ছুঁড়ে প্রত্যাশায় অপেক্ষার প্রহর গুনতেই পারেন অনুরাগীরা।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান