রামগঞ্জে আ’লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়

লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে ইছাপুর ইউনিয়নের (ইউপি) উপনির্বাচন ও বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের আহত অন্তত ১০ জনকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

শনিবার দুপুরে রামগঞ্জ পৌরসভার সামনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্য্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু এবং পৌর মেয়র আবু খায়ের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সহিদ উল্যাহ মারা যান। তার মৃত্যুতে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ শুন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

দলীয় নেতা-কর্মীরা জানায়, এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে শনিবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ের সামনে বর্ধিত সভা আহ্বান করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। নিহত সহিদ উল্যাহর স্ত্রী শাহানাজ আক্তার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসআই ফারুক হোসেন উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিজেদের নাম ঘোষণা করেন। এ নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ে। বর্ধিত সভায় যাওয়ার জন্য দুপুরে পৌরসভার কার্যালয়ের ভিতরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও পৌর মেয়র আবুল খায়েরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়। একই সময়ে পৌরসভার সামনের সড়কে বাহাদুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান ভূইয়ার নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়।

এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, নিহত সহিদ উল্যাহর স্ত্রী শাহনাজ আক্তারের পক্ষে সমর্থন দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন ও আর ফারুক হোসেনের পক্ষে অবস্থান নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও পৌর মেয়র আবুল খায়ের বলেন, ‘এমপির নির্দেশে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’

তবে বাহাদুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান ভূইয়াসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, সফিক মাহমুদ পিন্টু ও মেয়র আবুল খায়েরের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ইউপির উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান