রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

বাঘের গর্জনে আরো একবার কেঁপে উঠল সারাবিশ্ব। ২১৫ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্যে মাঠে নেমে একটুও দমে যায়নি বাংলাদেশ। বরং আরো একবার ইতিহাস রচনা করলো বাংলাদেশ। মুশফিকের ব্যাটে কেঁপে উঠল টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। ৫ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। ৩৫ বলে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহিম।

বাংলাদেশ এর আগে কখনই এত রান তাড়া করে জিতেনি। সর্বোচ্চ ১৬৪ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে টাইগারদের। সম্প্রতি হারতে হারতে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের দলের জন্য প্রয়োজন ছিল একটি জয়ের। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির মঞ্চে ধরা দিল সেই জয়। আত্মবিশ্বাস ফেরানো এক জয়। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২১৫ রানের টার্গেটে ২ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। এটিই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। যে জয়ে শেষের নায়ক হয়ে থাকলেন মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম।

শ্রীলঙ্কার করা ২১৪ রানের জবাবে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিং করে উদ্বোধনী জুটিতেই জমা করেছিলেন ৭৪ রান। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে অবশ্য দুজনেই ফিরেছেন সাজঘরে। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ৭৪ রানের মাথায় বাংলাদেশ হারিয়েছিল প্রথম উইকেট। ১৯ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিরেছিলেন লিটন। দশম ওভারে সাজঘরের পথে হেঁটেছেন তামিম। তিনি খেলেছেন ২৯ বলে ৪৭ রানের ইনিংস।

তৃতীয় উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে আরও খানিকটা এগিয়ে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকার। ১৫তম ওভারে সৌম্য ফিরেছিলেন ২৪ রান করে। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ২০ রান। আর ৩৫ বলে ৭২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন মুশফিক। শেষপর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক।

এর আগে উদ্বোধনী জুটিতে ঝড়ো ব্যাটিং করে ৫৬ রান জমা করেছিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার ধনুস্কা গুনাথিলাকা ও কুশল মেন্ডিস। পঞ্চম ওভারে মুস্তাফিজের বলে সোজা বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেছেন গুনাথিলাকা। ফিরে যাওয়ার আগে এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ ছিল ১৯ বলে ২৬ রান।

তবে এই উইকেটের পতনেও স্বস্তি মেলেনি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দেন দুই কুশল। মেন্ডিস ও পেরেরা। ১৪তম ওভারে কুশল মেন্ডিস ফিরে যান ৫৭ রান করে। তবে কুশল পেরেরা শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৪৮ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। আর শেষপর্যায়ে উপুল থারাঙ্গার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ৩২ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে ভালো বোলিং করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান । দুটি উইকেট গেছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ঝুলিতে।