লকডাউন কার্যকরী করে অনাহারীদেরকে বিনামূল্যে খাদ্য দিয়ে সামাজিক বিপর্যয় প্রতিহত করা সম্ভব

এবারের বাজেট কেমন হলো একথা বলতে হলে প্রথমেই আমি বলবো, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে অবশ্যই দেশের বাজেট কেমন হলো,কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে ভাবনা চিন্তা এবং এর সাথে আমাদের সম্পৃক্ত থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। বিগত যেকোনো সময়ের বাজেটের সাথে এবারের বাজেটের কিন্তু তেমন মিল নেই। তার অন্যতম প্রধান কারণ, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে অদ্যাবধি আমরা যে বাজেটগুলো পেয়েছি, সেই বাজেটগুলোতে, এবারের বাজেটের মতো যেসব অর্থনৈতিক ঝুঁকি, যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি পেয়েছি, এভাবে আমরা অতীতে প্রত্যক্ষ করিনি। এর ফলে দেখা যাচ্ছে যে, এবারের বাজেটটি বিগত যেকোনো সময়ের বাজেটের চেয়ে একটু আলাদা।

সরকারের বাজেট মানে হলো,তার আয়ের হিসাব এবং ব্যায়ের হিসাব। সরকারের আয়ের হিসাব, যেটা সরকার করে থাকে, সেটা তার রেভিনিউ থেকে আসে। রেভিনিউ আসে দুই জায়গা থেকে। একটা হলো এনবিআর এবং আরেকটি নন এনবিআর। অর্থাৎ আমাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিখাত থেকে যে ট্যাক্স আসে, ভ্যাট আসে এগুলো সরকারের এনবিআরের রেভিনিউ।

সরকারের আরো যেসব ইনকাম আছে, যেমন স্টাম্প বিক্রয়, বিভিন্ন সরকারি ফিস ইত্যাদি সবই সরকারের রেভিনিউ। সরকারের বিভিন্ন সেবাখাত থেকেও যে সমস্ত আয় আসে, সেগুলোও সরকারের ইনকাম। এই ইনকামের উপর ভিত্তি করেই সরকার তার ব্যয়ের বাজেট‌টা আগেই করে থাকে।

যেহেতু আমাদের এবারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিটা বেশি,অর্থনৈতিক ঝুঁকি বেশি। ফলে এই ঝুঁকির জায়গাগুলো যেমন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং ব্যবসাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনার জন্য এখানে প্রণোদনার প্রয়োজন। ফলে এবারে সরকারের কিন্তু ব্যয়ের বাজেটটা আয়ের বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ সরকারের আয়-ব্যয়ের মাঝখানে যে ঘাটতিটা থাকে, এটা সবসময়ই ছিল এবারও আছে। এবারে যেহেতু প্রণোদনা এবং ব্যয়ের জায়গাটা সরকারকে বাড়াতে হয়েছে, ফলে এবারে বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণটাও বেশি। এখন প্রশ্ন থাকে, আমরা যে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি,সেই আয়টা আমরা কতখানি আনতে পারব এবং ব্যয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে আমাদের কতটা ব্যয় হবে। বাজেটের দুটো দিক। একটি অপারেশনাল বাজেট,আরেকটি হলো ডেভলপমেন্ট বাজেট। অপারেশনাল বাজেটের জায়গাটা থেকে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের যে দৈনন্দিন ভাতা এবং তাদের খরচ যেগুলো আসে, এগুলো কিন্তু এখান থেকে কমানোর কোনো সুযোগ নেই। আর উন্নয়ন বাজেটে যদি ব্যয় না করা হয়, তাহলে কিন্তু কর্মসংস্থান হবে না। মানুষের যে কর্মসংস্থান হয়, সেটা কিন্তু এই উন্নয়ন বাজেটের কারণেই হয়।

এই আয় আর ব্যয়ের মাঝখানে যে ঘাটতিটা, এবার এর পরিমাণ একটু বেশি। ফলে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আমার যে শঙ্কার জায়গাটা সেটা হলো, ভর্তুকি। যেটা আছে বাজেট ভর্তুকি, সেটাতো সরকারকেই পূরণ করতে হবে। তাহলে, এর সোর্সটা কোথায়?সোর্স সাধারণত দুভাবে হয়। একটা অভ্যন্তরীণ থেকে হতে পারে। আরেকটি সোর্স হলো, দেশের বাহির থেকে লোন নিয়ে আসা। এবার যেহুতু পরিমাণটা অনেক বেশি, তাই আমাদের অভ্যন্তরীণ সোর্স থেকে যে পরিমাণ আহরণের কথা বাজেটে উল্লেখ করা আছে, সেটার পরিমাণটাও কিন্তু অনেক বেশি। সেই জায়গাটা সরকার যদি ব্যাংকিং সেক্টর থেকে আনতে যায়, তাহলে বেসরকারি খাতে যে ঋণ প্রবাহ এবং অর্থ সঞ্চালন সেটা চাপের মুখে পড়বে। ফলে বেসরকারি বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। জিডিপির গত বছরে আমাদের বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫ পার্সেন্ট বা ২৩ পার্সেন্ট। এটা বাস্তবে এসে হয়েছে ১৩ পার্সেন্ট। তাহলে বিনিয়োগ যদি এখানে কম হয় এবং সরকারি বেসরকারি খাতে যদি অর্থ প্রবাহ কম হয়, তাহলে কিন্তু আবার কর্মসংস্থান ব্যাহত হবে। ফলে প্রভার্টি বাড়বে এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমবে। বিদ্যমান যে সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য আছে তাদেরও রেভিনিউ কমবে। আর আমাদেরও যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর ইনকাম কমে যাবে। সেইদিক থেকে আমি মনে করি,এবারের বাজেটে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে,ঝুঁকি রয়ে গেছে। সরকারের জন্য এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানদের জন্যও।

আমরা অর্থাৎ ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপ যেহেতু এগ্রিকালচার সেক্টরে ব্যাপকভাবে সংশ্লিষ্ট, তাই এগ্রিকালচার সেক্টরে এবারের বাজেটে কী পেলাম, সে বিষয়ে একটু আলোকপাত করা যাক। যদি মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়, তাহলে কিন্তু মানুষের সামাজিক নিরাপত্তাটা সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে আমাদের অর্থনীতির জন্য। স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি যে অর্থনৈতিক ঝুঁকিটা সবচেয়ে বড়, তা হলো সামাজিক নিরাপত্তা। অর্থাৎ দরিদ্র মানুষের দৈনন্দিন খরচ মেটানো এবং তার খাদ্য জোগাড় করা, একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়াবে। আমি বলি, এই সামাজিক নিরাপত্তার নামই হলো কৃষি। আর মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা হলো তার মৌলিক অধিকার। যেমন ধরুন, সে যাতে খাদ্যের অভাবে মারা না যায়। চিকিৎসার অভাবে মারা না যায়। কাজেই মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের যে বিষয়গুলো রয়েছে, এগুলোকে নিশ্চিত করাই হলো সামাজিক নিরাপত্তা। যখনই আপনি তার এ সমস্ত বিষয়গুলোর কথা ভাববেন, তখন কিন্তু তার সামনে আপনার তিন বেলা খাবারের সংস্থান করতে হবে।

আমরা খাদ্য যদি বিদেশ থেকে আমদানি করে আনি, তাহলে কিন্তু এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে আমদানি করে খাবার জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমি দেখতে পাচ্ছি, কৃষিতে জোর দেওয়ার দরকার ছিল এবং সরকারও সেটা দিয়েছে। যান্ত্রিকীকরণের উপরে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং ফার্টিলাইজারের উপকরণ, যেগুলোতে ভর্তুকি ছিল, সেই ভর্তুকির পরিমাণ সামান্য বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু যদি দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে হয়, তাহলে আরো ভর্তুকির প্রয়োজন। এখানে আরেকটি জিনিস আমি বলবো, যান্ত্রিকীকরণকে যে আমদানি নির্ভর করতে বলা হচ্ছে, তাতে করে আমাদের যে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কৃষিতেই বেশি। কৃষি শ্রমিক দরিদ্র,প্রান্তিক কৃষক দরিদ্র। এখানে যান্ত্রিকীকরণ করে বেকারত্ব আরো বাড়বে। বরং কৃষিভিত্তিক শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান করে, কৃষির উপকরণকে কিভাবে শিল্পে নেয়া যায়, সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমাদের দেশের কৃষি একটা সনাতনী কৃষি থেকে আধুনিক কৃষিতে এসেছে। আধুনিক কৃষি থেকে আবার এটা চলে যাচ্ছে বাণিজ্যিক কৃষিতে। যদি বাণিজ্যিক কৃষিতে নিতে হয়, তাহলে কিন্তু কৃষি শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান ছাড়া এই ইন্ডাস্ট্রিকে সাসটেইনেবল করা সম্ভব নয়। তাই আমি মনে করি, যদি কৃষিকে টেকসই করতে হয়,গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষিকে জোরদার করতে হয়, তাহলে কৃষি শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নে জোর দিতে হবে এবং এই বাজেটে যেটার সুস্পষ্ট কোন লক্ষ্যমাত্রা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে এবং কৃষকের ফসল উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়। তার জন্য কৃষি উপকরণের ভর্তুকি,তাদের শস্য ঋণ,এগুলোতে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। কৃষিঋণ যাতে অল্প সুদে পেতে পারে, এ সমস্ত বিষয়গুলো নজরে রয়েছে। কৃষিকে যদি দীর্ঘমেয়াদী টেকসই করতে হয়, তাহলে বড় বড় বিনিয়োগকারীদেরকে কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করতে হবে। ওরকম দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো ব্যাবস্থাপনা বাজেটে থাকলে ভাল হতো।

আমাদের যেহেতু ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে ব্যবসা আছে, তাই ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বজেটে কী পাওয়া গেলো সে সম্পর্কে একটু দৃষ্টি দেয়া যাক। যেহেতু করোনাকে ঘিরেই আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি,করোনাকে ঘিরেই আমাদের অর্থনৈতিক ঝুঁকি। ফলে আমাদের সরকার যেটা করেছে সেটা হলো, করোনার সাথে সম্পৃক্ত যত উপকরণ এবং ড্রাগ আছে সেগুলোর আমদানির ওপর যে শুল্ক ছিল, সেসব শুল্ক রেয়াত করে দিয়েছে। যেমন ধরুন, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ম্যাটেরিয়ালস,পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর ওপর জিরো ট্যাক্স ও জিরো ডিউটি আরোপ করা করা হয়েছে। করোনাকে ঘিরে যে সমস্ত কাঁচামাল দরকার, সেগুলোকেও কিন্তু পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এগুলোতে সরকার নজর দিয়েছেন। কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে যদি আপনার সুদূর প্রসারী চিন্তা করা হয়,যেমন ধরুন আমাদের উপজেলা পর্যায়ে যে সমস্ত হাসপাতাল আছে, সেই হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড আছে কিনা,ভেন্টিলেশন লাগানো যাচ্ছে কিনা,অক্সিজেন আছে কিনা সেগুলো দেখা।

দীর্ঘমেয়াদী অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিক নির্দেশনা হয়তো এই বাজেটে শুরু করা যেতো, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নেয়া যেতো। ঢাকা ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে ৬৪ জেলায় এই স্বাস্থ্যের অবকাঠামো নির্মাণের একটা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলে আমি মনে করি, এটা ভালো হতো। যেহেতু আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল এবং এগ্রিকালচার বিজনেস, এখানে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। কারণ সামাজিক সুরক্ষার মধ্যেই সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি পড়ে। আমাদের এখানে তুলনামূলকভাবে রেভিনিউ সেভাবে পড়ে না। কৃষির ব্যবসায় রেভিনিউ বৃদ্ধি পেয়েছে যারা কৃষি উপকরণের ব্যবসা করেন তাদের প্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে সার আছে, বীজ আছে, কীটনাশক আছে। এ ধরনের কৃষি উপকরণের বাজারে করোনাতে তেমন কোনো খারাপ প্রভাব পড়েনি। বরং ফার্মাসিটিক্যালে তুলনামূলকভাবে খারাপ প্রভাব পড়েছে। যেহেতু ডাক্তাররা তাদের চেম্বারে যেতে পারছেন না, দৈনন্দিন প্রেসক্রিপশন জেনারেট হচ্ছে না। ফলে ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিগুলোর গ্রোথ যেটা ছিল, সেখান থেকে ডিক্লাইনে চলে আসছে।

সব প্রতিষ্ঠানের মতো আমাদের প্রতিষ্ঠানেরও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং বিজনেস অপারেশন ম্যানেজমেন্টে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এখন যেহেতু স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে, তাই আমরা আমাদের সকল কর্মচারীদেরকে অফিসে আনতে পারছি না। এখানে তিন ভাগ করা হয়েছে এবং অল্টারনেটিভ দিনে তারা আসে। ফলে তাদের শ্রম ঘন্টা এখানে কম হচ্ছে। সেজন্য আমাদের উৎপাদন আগের চেয়ে কম হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা কাজকর্ম করছি।

সবদিক থেকে এখন করণীয় নিয়ে আমি বলবো, যেহেতু স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের ডাক্তার সীমিত,হাসপাতাল সীমিত,নার্স সীমিত। আমাদের স্বাস্থ্যসেবাটা যেহেতু পর্যাপ্ত নেই, সেখানে যদি বহুসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবাটা একটা মানবিক বিপর্যযয়ে পরিণত হবে। সারা পৃথিবীর মানুষ দেখবে যে, বাংলাদেশের মানুষ কতটা অসহায়। এখানে ১৭ কোটি মানুষ হাসপাতালের বেড পায় না। সে কারণেই অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে আমাদের লকডাউন এবং কারফিউ কার্যকরী করতে হবে। না হলে প্রতিদিন যে হারে মানুষ মারা যাচ্ছে, যদি আগামীতে এই হার আরো বাড়ে এবং যদি আরো অধিক সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়, তাহলে সাধারন যে স্বাস্থ্যসেবাটা চালু রয়েছে, সেটা পাওয়ার সুযোগও জুটবে না। এ কারণেই আমি বলবো, লকডাউন কার্যকরী করা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তো দূরের কথা পুনরুদ্ধারের জন্য অধিক সংখ্যক সরকারি প্রণোদনা ও অর্থ বরাদ্দ দরকার। দরিদ্র মানুষকে যেমন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঈদের আগে ৫ কোটি মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে দিয়েছেন। এটাকে অব্যাহত রাখতে হবে। এক কথায় আমার মত, লকডাউন কার্যকরী করতে হবে। মানবিক বিপর্যয় থামানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং গরীব মানুষকে বিনামূল্যে খাবার দিতে হবে। দুটোই সমান ভাবে রাখতে হবে। উন্নত বিশ্বে যেমন করোনাকালীন সময়ের পিকটা উপরের দিকে উঠছে, আবার নামছে। বাংলাদেশের পিকটা সেরকম হবে না, বরং লম্বা হবে। কারণ আমেরিকায় যদি এটা চার মাসে ভালো হয়,আমাদের এখানে ভালো হতে লাগবে ১২ মাস। সারা পৃথিবীর গড় যদি হয় ১২ মাস আমাদের হবে আঠারো মাস।

কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান
ব্যবস্থাপনা পরিচালক,ওয়ান ফার্মা ও ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপ