লক্ষ্য ২০২১ : দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত হবে আইসিটি

আমাদের দেশে একসময় প্রায় কল্পনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি। মাত্র ১০ বছর আগেও আমরা শুনতাম ভারতে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তারা অনেক ডেভেলপ করছে সফটওয়্যার তৈরিতে। এখন আমাদের দেশেও প্রচুর সফটওয়্যার ডেভেলপ হচ্ছে। সম্ভাবনা বাড়ছে এই সেক্টরে। এই সেক্টরের একজন পরিচিত মুখ, বিস্তৃত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী, আইসিটি খাতের অনেকগুলো বিদেশি ব্র্যান্ডকে বাংলাদেশে পরিচিত করিয়েছেন, তিনি রফিকুল আনোয়ার, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাস্থাপনা পরিচালক। আইসিটি সেক্টরের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি দৈনিক আজকের বাজার ও আজকের বাজার টেলিভিশন-এবিটিভির সাথে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। আলোচনার অনুলিখন তাঁরই ভাষায় প্রকাশ করা হলো।

এক্সপোর্টে বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টর বা তৈরি পোশাক খাতের সুনাম রয়েছে। কিন্তু এক্সপোর্টেরও একটা ভারসাম্য থাকা উচিত। কখনো যদি আরএমজিতে ধস নামে বা রফতানি কমে যায়, তখন অটোমেটিক্যালি সেকেন্ড, থার্ড, ফোর্থ পজিশনে থাকা সেক্টরগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে। দুঃখের হলেও সত্য যে এক্সপোর্টের দিক থেকে পজিশনে আরএমজি যদি প্রথম হয় তাহলে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে কেউই নেই। কারণ যাকে দ্বিতীয় বলব তার সাথে যদি বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য থাকে, তাহলে তো হলো না।
এখানে একটা বিরাট সুযোগ আছে। সেটা হচ্ছে আমরা আইসিটি সেক্টর নিয়ে ভাবতে পারি। আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। আইটি বিশেষজ্ঞ যাঁরা আছেন, তাঁরাও একই কথা বলবেন। আগামী পাঁচ বছরে আইটি সেক্টরে একটি বড় ধরনের বিপ্লব হতে পারে। যেমন আমাদের যুবকশ্রেণি ইন্টারনেটের প্রতি বেশ আগ্রহী। তারা যেমন মোবাইল নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, তেমনি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করতেও পছন্দ করে। এই মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপও কিন্তু একটি দেশের ক্ষেত্রে বিল্পব ঘটাতে পারে।
সফটওয়্যারে আমাদের এক্সপোর্ট এখনো বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়নি। এখনো মিলিয়ন ডলারে রয়ে গেছে। তখন আমাদের এক্সপোর্ট ১-২ বিলিয়ন না, ১০০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। এটা অনেক বড় স্বপ্ন মনে হতে পারে। তবে এটি বাস্তবায়ন করা তেমন কঠিন কিছু না। এই সেক্টরে এখনো অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। যেমন তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগিয়ে কল সেন্টার করা যেতে পারে। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ করা যেতে পারে।

একসময় আমাদের ডেটা ইমপোর্ট করতে হতো। আমাদের ব্যাকবোন স্ট্রং ছিল না। কিন্তু বর্তমানে আমাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপের পাশাপাশি ব্যান্ডউইটথের ব্যাকবোনও বেশ ডেভেলপ করেছে। এখন আমাদের একটা ব্যাকআপ লাইনও রয়েছে। কোনো কারণে যদি আমার একটি সাবমেরিন কেবিনে ড্রপ করে, তাহলে আমার যে ব্যাকআপ আছে তা দিয়ে ডেটা ট্রান্সফার করা যাবে। অথবা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে করা যাবে। এখন পর্যন্ত সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে করা হচ্ছে।

দশ বছর আগেও আমরা শুনতাম ইন্ডিয়ায় প্রচুর সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি আছে। তারা অনেক সফটওয়্যার ডেভেলপ করছে। ইউরোপ, আমেরিকা, ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ায় সেল করছে। আমরা কিন্তু বর্তমানে সেই জায়গায় পৌঁছে গেছি। আমাদের দেশেও এখন সফটওয়্যার ডেভেলপ হচ্ছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজেশন
আমাদের দেশে অনেক বাংলা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল রয়েছে। দু-একটি ছাড়া অধিকাংশ জায়গায় কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন কিন্তু খুব সহজ। একটা বাচ্চা সাত-আট কেজি ওজনের বইসহ ব্যাগ ঘাড়ে করে স্কুলে যাচ্ছে। এখানে এক কেজি ওজনের একটি ল্যাপটপ হলেই কিন্তু হয়ে যায়। সব বইয়ের ডেটা এক ল্যাপটপেই বহন করা যায়। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওয়াইফাই থাকলে যেকোনো সমস্যায় গুগলের সাহায্য নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে। এ ছাড়া ল্যাব, ক্লাসরুম, হলরুমসহ সব সেক্টর ধীরে ধীরে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে পারে। একসঙ্গে সম্ভব না হলে পর্যায়ক্রমে এটা করা যেতে পারে। প্রথমে বিভাগ, এরপর জেলা শহর, এরপর পর্যায়ক্রমে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এটা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

বর্তমানে শহরের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে কম্পিউটার চালাতে পারে, অথচ গ্রামের অনেক ছেলেমেয়ে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটার কেনার সাধ্য না থাকায় কম্পিউটার শিখতে পারে না। সরকার উদ্যোগ নিলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি ডিজিটাল ল্যাবের আওতায় আনা হয়, তাহলে যুবসমাজ কিন্তু আইটিতে দক্ষ হিসেবে সহজেই গড়ে উঠবে। এরপর গ্রামগঞ্জের ছেলেমেয়েরাও শহরে এসে ভালো ভালো চাকরি করতে পারবে। গ্রাম থেকে আসা একটি ছেলেকে যদি যেকোনো কল সেন্টার বা ডেটা সেন্টার বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে চাকরি দেওয়া হয়, তবে ধীরে ধীরে তার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবে।

একটা সময় ছিল, যখন সফটওয়্যার ডেভেলপের জন্য ভালো প্রোগ্রামার পাওয়া যেত না। এখন কিন্তু প্রোগ্রামার তৈরি হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এর সংখ্যা আরও বাড়বে। আমাদের যে দক্ষ জনশক্তির অভাব ছিল, তা ধীরে ধীরে কমে যাবে। সে ক্ষেত্রে বলা যায় একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি ল্যাপটপই হতে পারে একজন ভালো শিক্ষক।

বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বসেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমার ব্যবসায়ী সফটওয়্যারে ঢুকতে পারি। প্রতিদিনের খবরাখবর নিতে পারছি। এটা আরও সহজ হয়ে যায় যদি আমার হাতে একটা স্মার্টফোন থাকে। তাহলে রাস্তায় বসেও আমি আমার অফিসের খোঁজ রাখতে পারব। সুতরাং বলতেই পারি যে স্মার্টফোন শুধু ফ্যাশনই না, এটি অনেক সমস্যার সমাধানও করে। অফিশিয়াল অনেক প্রবলেম সলভ করে।

সম্ভাবনাময় হার্ডওয়্যার সেক্টর
বর্তমানে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, যদি কেউ হার্ডওয়্যার কোম্পানি করে, তাহলে তাকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। এ ক্ষেত্রে হার্ডওয়্যার কোম্পানিগুলো যদি দেশের চাহিদা মিটিয়ে কিছু এক্সপোর্ট করতে পারে, তাহলে সরকার কিছু ব্যাক ইন ইনসেনটিভ রাখতে পারে। সরকারের কাছে এটা আমাদের চাওয়া। চায়নাতেও এটা আছে। সেখানে রপ্তানির বিপরীতে ব্যাক ইন ইনসেনটিভ দেওয়া হয়। এ কারণেই তারা কম্পোরেটিভ প্রাইজে অফার করতে পারে। আমাদের সরকার যদি এটা দেয়, তাহলে আমাদের পক্ষেও এটা সম্ভব। যদিও একটু সময় লাগবে।

আমাদের দেশের হার্ডওয়্যার সেক্টর অনেক সম্ভাবনাময়। এখনই সব সম্ভব না হলেও, কিছু কিছু শুরু করা যেতে পারে। যেমন কম্পিউটার রিলেটেড যে কোম্পানিগুলো আছে, সেগুলো দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। একটি ডেক্সটপ তৈরি করতে গেলে একটি চ্যাসিস লাগে। একটি ক্যাসিং লাগে। আমরা প্রথমে ক্যাসিং, ইউপিএস, ব্যাটারি, মাউস বা কিবোর্ড দিয়ে শুরু করতে পারি। অর্থাৎ, যেগুলোতে টেকনোলজি থাকবে, বাট হাই টেকনোলজি নয়, বেসিক দিয়ে শুরু করতে হবে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে একটু সহায়তা বা প্রণোদোনা পেলেই শুরু করা যেতে পারে।

হার্ডওয়্যার কোম্পানির প্রতিবন্ধকতা
একটি হার্ডওয়ার কোম্পানি সম্পূর্ণই আমদানিনির্ভর। সুতরাং সমস্যাগুলোও আমদানির ক্ষেত্রেই হয়। যেমন ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এইচএস কোড মেলে না, ট্যাক্স বেড়ে যায়। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ইমপোর্টার পলিসির সমস্যা। একজন ক্রেতা কীভাবে ভোক্তাস্বার্থ রক্ষা করে পণ্য ক্রয় করবে বা একজন আমদানিকারক কীভাবে ব্যাংকের টাকায় ইমপোর্ট করে তার পণ্যটি ক্রয় বা বিক্রয় করবে, সেটি পাচ্ছি না। যখন আমরা কোনো প্রোডাক্ট আমদানি করে ডিস্ট্রিবিউট করতে যাই, তখন লজিক্যাল প্রফিটের সম্ভাবনা নষ্ট করে ফেলা হয়। কারণ যখন বিদেশ থেকে পণ্যটি এলসি করা হয়, তখন যে মূল্য থাকে, দেশে আসতে আসতে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য অনেক কমে যায়। তাই আমাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা কাজ করে, যত দ্রুত পণ্যটি বিক্রি করা যায়। তখন পণ্যটির লজিক্যাল প্রফিট সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়।

র‌্যাম, প্রসেসর, হার্ডডিস্ক বা এ রকম ছোট পণ্যগুলো অনেকে লাগেজে করে অবৈধভাবে নিয়ে আসে। তাদের এলসি খরচ নেই, ডিউটি দিতে হয় না, কোনো ট্যাক্স দেয় না। কোনোভাবে কাস্টমস বা চেকারদের ম্যানেজ করে পণ্যটি ঢুকিয়ে ফেলে। এরপর এরা বেশ ডিস্টার্ব করে, যার ফলে এই পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে বড় কোম্পানিগুলোর লস করতে হয়। এ বিষয়ে সরকারের একটু সুদৃষ্টি দেওয়া উচিত।
বর্তমানে আমদানিকারকদের জন্য ভ্যাটের ক্ষেত্রে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যেমন আমরা আমদানি পর্যায়ে ৪ শতাংশ এটিভি (অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট) দিয়ে আসছি। এখন সরকার চিন্তা করছে ক্রেতাদের থেকেও ভ্যাট কাটবে। এখানে সরকারের একটু নমনীয়ভাবে দেখা উচিত। যেহেতু আমরা সবাই ইনফরমেশন টেকনোলজির কথা বলি। স্পষ্ট করে বলতে গেলে আইসিটি সেক্টরটাকে ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি জানাই।

বাজেটে প্রত্যাশা
কিছুদিন আগেও আমরা যে ইউপিএস আমদানি করতাম, সেখানে আমদানি নীতিমালা ছিল। সেখানে একটি এইচএস কোড ছিল। সেই এইচএস কোডের মধ্যে প্রাইজ থেকে শুরু করে ভ্যাট, ট্যাক্সÑ সবকিছুই উল্লেখ থাকত। এখন পদ্ধতিটা চেঞ্জ করে ওয়েটে নিয়ে গেছে। এ বিষয়টি খুব একটা ভালো লাগেনি। আগে যেভাবে ছিল সেভাবেই থাকা উচিত।

কম্পিউটার মনিটরের বিষয়ে একসময় কম্পিউটার এইচএস কোডের সাথেই ৭ দশমিক ৩১ পার্সেন্ট ভ্যাট দিয়ে, এটিবি দিয়ে নিয়ে আসতে পারতাম। এখন কয়েক বছর ধরে ২১ ইঞ্চির বেশি হলে সরকার সেটির সাথে টেলিভিশনের ভ্যাট যুক্ত করে দিয়েছে। এটা একটা সমস্যা। যদি কারও প্রয়োজন হয়, সে তো ২৬ ইঞ্চি ব্যবহার করতেই পারে। তাকে কেন অতিরিক্ত টেলিভিশনের ভ্যাট দিতে হবে? এই বাজেটে সরকারের কাছে চাওয়া, যাতে এ বিষয়গুলো ঠিক করে ফেলা হয়।

সরকারের ২০২১ ভিশন পূরণে করণীয়
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সরকার যে ভিশন ২০২১ গ্রহণ করেছে, এটি পূরণে আইসিটি সেক্টর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। ২০২১ সাল আসতে আর মাত্র চার বছর বাকি। এটি কিন্তু আমাদের জন্য অনেক লম্বা সময় না। সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে বা সরকার চেষ্টা করছে ঠিক, কিন্তু এর গতিটা আরও বাড়াতে হবে। একটা সময় অল্প কিছু মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করত বা জানত। এখন কিন্তু বাসার কাজের মেয়েটাও স্মার্টফোন ব্যবহার করতে জানে। ঠিক তেমনি, যেকোনো জিনিস শুরু করলে সর্বত্র পৌঁছে যেতে সময় লাগে না। এখন শুরুটা করতে হবে।

প্রসঙ্গ : রাতে ছয় ঘণ্টা ফেসবুক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে বলতে গেলে এটি নদীর স্রোতের মতো। বাঁধ দিয়ে আটকানো যায় না। এ ক্ষেত্রে বাধা দিলে জনগণের আগ্রহ আরও বেশি তৈরি হয়। সরকার যেটা বলেছে, স্টুডেন্টরা গভীর রাতে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে থাকে, এটা দমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি, এটা তো প্রত্যেক গার্ডিয়ানের দায়িত্ব। প্রত্যেক জিনিসের সুযোগ থাকবে, সেটিকে সঠিক ব্যবহার করা শেখানো গার্ডিয়ানের দায়িত্ব। যদি কেউ এটার অপব্যবহার করে, সরকার তো কিছু করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে নিজ নিজ সচেতনতা জরুরি। তবে সরকারের এই পদক্ষেপটা একেবারে অমূলক নয়। ফেসবুকে যেসব অ্যাক্টিভিটিস হয়, তা রাত ১২টার পর বন্ধ থাকলে এমন কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সরকার যেহেতু উদ্যোগটা নিয়েছে; দু-চার দিন করে দেখুক। তখন সুবিধা-অসুবিধা বোঝা যাবে।

রফিকুল আনোয়ার
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড