লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার

রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় শ্যামবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাত সোয়া ১০টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছিল, একপাশ একটু পানির উপরেও উঠানো হয়েছিল। ঠিক ওই সময় একজনকে দেখতে পায় ডুবুরি দল। পরে তাকে উদ্ধার করে মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম সুমন ব্যাপারী। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর আব্দুল্লাহপুর।

এদিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার অভিযানে আসার সময় বুড়িগঙ্গা-১ সেতুতে আটকে যায় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এ সময় সেতু এবং উদ্ধারকারী জাহাজের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে আর উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে পারেনি ‘প্রত্যয়’। ফলে সনাতন পদ্ধতিতে লঞ্চ উদ্ধারের বিকল্প চিন্তা করেন বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা। সে চিন্তার অংশ হিসেবেই এয়ার লিফটিং ব্যাগ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা ‘মর্নিং বার্ড’ নামের লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা ৩২ জনের মরদেহ এরইমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে এখনো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, নৌবাহিনী সদস্য এবং কোস্টগার্ড।

এর আগে ‘মর্নিং বার্ড’ নামের লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ঢাকার সদরঘাটে আসছিলো। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদরঘাটে যাত্রী নামানোর ঠিক আগ মুহূর্তে ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় শ্যামবাজারের কাছে মাঝ নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় লঞ্চটি।