লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে পাকিস্তানিদের হামলা

british-pakistanies caused damage to indian high commission in london

কাশ্মীর উত্তেজনা এবার ছড়ালো বিদেশেও। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালালো হাজার হাজার ব্রিটিশ পাকিস্তানি। ভেঙে দেওয়া হল দূতাবাসের কাচের জানলা।

কাশ্মীর নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে মঙ্গলবার প্রায় দশ হাজার ব্রিটিশ পাকিস্তানি ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়। আচমকাই উত্তেজিত হয়ে পড়ে জনতা। হামলা চলে ভারতীয় দূতাবাসের উপর।

দূতাবাস কাচের জানলা লক্ষ্য করে ছোড়া হতে তাকে ডিম, টমেটো, জুতো, পাথর, স্মোক বোম্বের মতো বিভিন্ন জিনিস। অথচ স্থানীয় প্রশাসনকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের কথাই জানানো হয়েছিল।

এর পাল্টা কোনও বিক্ষোভ বা কর্মসূচির পথে এখনও হাঁটেননি লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয়রা।

এই বিক্ষোভে মূলত পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে আসা ব্রিটিশ পাকিস্তানিরাই অংশ নিয়েছিলেন। আর বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন ব্রিটিশ লেবার দলের বেশ কয়েকজন সাংসদ। তাঁদের মধ্যে অন্যতম লিয়াম বায়ার্ন ভারত সরকারকে বিঁধে বলেন, ‘গায়ের জোরে দেশের সংসদকে চুপ করিয়ে রাখা যায়, কিন্তু মানুষের মুখ বন্ধ করা যায় না। যতক্ষণ না কাশ্মীরের মানুষ বিচার পাচ্ছেন, ততক্ষণ আমাদের এই বিক্ষোভ চলবে। কাশ্মীর সমস্যার দ্বিপাক্ষিক সমাধান আর সম্ভব নয়। এবার বিভিন্ন পক্ষকে একসঙ্গে বসে এই সমস্যার সমাধান বের করতে হবে।’

কমনওয়েলথ দেশগুলি এবং রাষ্ট্রসংঘের মাধ্যমে যাতে ভারত সরকারের উপরে কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়, সেই প্রস্তাব পাশ করাতেও ব্রিটিশ সংসদে তৎপরতা দেখিয়েছেন লিয়াম বায়ার্ন নামে এই সাংসদ।

এ দিন বিক্ষোভ চলাকালীন ওয়েস্টমিনস্টার স্কয়ারে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির হাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একটি পতাকাও ধরিয়ে দেওয়া হয়। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকেই দূতাবাস ভবনে হামলার বিভিন্ন ছবি পরে টুইট করা হয়। এই ঘটনায় দু’ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ। লন্ডনের পাক বংশোদ্ভূত মেয়র সাদিক খান অবশ্য এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। টুইটারে তিনি লেখেন, বিক্ষোভকারীদের এই আচরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আজকের বাজার/এমএইচ