লিচ বিশ্বাস করতে পারছেন না যে তিনি ‘অ্যাশেজ হিরো’

LONDON, ENGLAND - JULY 25: Jack Leach of England walks off after his 92 runs during day two of the Specsavers Test Match between England and Ireland at Lord's Cricket Ground on July 25, 2019 in London, England. (Photo by Julian Finney/Getty Images)

অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে বেন স্টোকসকে দারুনভাবে সহযোগিতা করেছেন ‘গ্রাম থেকে উঠে আসা ক্রিকেটার’ জ্যাক লিচ। যে কারণে ওই ম্যাচে জয়ের ‘নায়ক’ বলেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে বন্দনা।

রোববার হিডিংলিতে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাট হাতে লিচ যখন মাঠে নামছিলেন, তখন ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ২৮৬ রান। ৩৫৯ রানের লক্ষ্য পুরণ করে জয়ের জন্য তখনো আরো ৭৩ রান দরকার ইংল্যান্ডের।

অল রাউন্ডার বেন স্টোকস তখন ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন। দলকে বিজয়ী করার গুরু দায়িত্ব দারুন দক্ষতার সঙ্গেই পালন করেছেন স্টোকস। অপরাজিত ১৩৫ রান সংগ্রহের মাধ্যমে ইংল্যান্ডকে এক উইকেটে জয় এনে দেন তিনি। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজটি ১-১ ম্যাচে সমতায় ফিরেছে।

১৯৮১ সালেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডকে এক উইকেটে জয় এনে দিয়েছিলেন ইয়ান বোথাম। এ সময় তাকে শেষ উইকেটে সমর্থন জুগিয়েছিলেন গ্রাহাম ডিলে। ২০০৫ সালে অপর প্রান্ত থেকে অ্যাশলে গিলের সহযোগিতা না পেলে দলকে অ্যাশেজ শিরোপা এনে দিতে পারতেন না কেভিন পিটারসেন। একইভাবে লিচ যদি সহায়তা করতে না পারতেন তাহলে স্টোকসের পক্ষে সম্ভব হতোনা ম্যাচ জেতানো। শেষ উইকেট জুটিতে তারা সংগ্রহ করেন ৭৬ রান।

স্টোকস সাবলিল ভাবে ব্যাট চালালেও ওই জুটিতে লিচের ভুমিকাও কম ছিল না। ব্যাটিংয়ে ১১ গড়ের অধিকারী লিচ ১৭ বলের মোকাবেলায় অপরাজিত থেকে ‘অমুল্য’ একটি রানও সংগ্রহ করেছেন। যদিও গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত লর্ডস টেস্টে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নেমে দীর্ঘ এক ঘন্টা ক্রিজে টিকে ছিলেন লিচ। সংগ্রহ করেছেন ৯২ রান।

রোববার শুধুমাত্র একটি বার সত্যিকারের ভয় পেয়েছিলেন তিনি। জয় থেকে যখন স্বাগতিকরা মাত্র দুই রান দূরে তখন রান সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে অনেকটাই আউট হয়ে গিয়েছিলেন লিচ। যদিও নাথান লিয়ঁর ব্যর্থতার সুযোগে ফের নিজ অবস্থানে ফিরতে পেরেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য একটি রান নিয়ে ম্যাচকে সমতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন লিচ। এরপর ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্সের বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন স্টোকস।

খেলা শেষে লিচ বলেন, ‘এমন একটি পরিবেশের অংশ হতে পারাটা দারুন। কারণ আমাকে দেথতে অনেকটাই ‘গ্রাম থেকে উঠে আসা ক্রিকেটারের’ মত লাগছিল, আমার গ্লাস এবং বেল্ট দেয়া টুপির কারণেও। সবাইকে অনেকটা পেশাদার মনে হলেও আমাকে তারা এমনটাই মনে করেছে।’

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান