শান্তিপূর্ণ টেকসই বিশ্বের জন্য যৌথ প্রচেষ্টার আহ্বান ঢাকার

ঘৃণা ও অজ্ঞতার বিষ কেবল সহিংসতা ও যুদ্ধই লাগাতে পারে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সোমবার ‘শান্তি ও স্থিতিশীল’ টেকসই বিশ্বের জন্য সকলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা ছাড়া কোনো রাষ্ট্র বা অঞ্চলের উন্নয়ন ও তাদের লক্ষ্য অর্জন হতে পারে না। তারপরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বেশ কিছু মাধ্যম বিভিন্ন সময়ে ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতার বিষয় প্রচার করেছে,’ বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার টেকসই বিশ্বের জন্য জাতি, বর্ণ ও ধর্ম নির্বিশেষে একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখানোর মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

এ ধরনের মানসিকতা ধারণ করার জন্য মোমেন পিতা-মাতা, অভিভাবক, শিক্ষক, মতামত দাতা, বুদ্ধিজীবী, সম্প্রদায়ের নেতা, মন্দির, মসজিদ, উপাসনালয়, গীর্জার নেতারা এবং সরকারকে একসাথে হাতে হাত রেখে কাজ করার আহ্বান জানান।

রাজধানীতে তিন দিনব্যাপী ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও ভারতের অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) যৌথভাবে আয়োজিত ডায়ালগের উদ্বোধন করেন।

ওআরএফ প্রেসিডেন্ট সমির সরণ ও বিআইআইএসএস মহাপরিচালক একেএম আব্দুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

ড. মোমেন বলেন, আমরা আসলেই এশীয় শতাব্দীতে বাস করছি এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো- ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং দক্ষিণ পূর্ব ও পূর্ব এশিয়ার অনেকগুলো দেশের প্রবৃদ্ধি অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় দ্রুত হারে বাড়ছে।

তবে এটি কেবল প্রবৃদ্ধির হারই নয়, সেই সাথে টেকসই এবং উন্নয়নের বণ্টন এই দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতিগুলোকে এত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ভবিষ্যতে আমাদের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিশাল ক্ষেত্র দেখছি। এটি অনস্বীকার্য সত্য, আন্ত:আঞ্চলিক বাণিজ্য এবং যোগাযোগ সম্ভাবনার তুলনায় তাদের সহযোগিতা অনেকটাই কম,’ বলেন ড. মোমেন।

তিনি বলেন ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগের মাধ্যমে, সক্রিয় সহযোগিতা ও সাধারণ সুবিধার বিষয়গুলো বোঝার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে আরও সফল হতে সহায়তা করবে।

আজকের বাজার/এমএইচ