শিমুলিয়ায় মানুষের ঢল

ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকী। ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই পদ্মা পারি দিচ্ছে মানুষ। তবে ঘাট ব্যবহারকারীরা ফেরি ও লঞ্চ স্বল্পতার অভিযোগ করে।
এই নৌরুটে এ রুটের ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৫টি ফেরি এবং ৮৭ লঞ্চের মধ্যে ৮৪টি চলাচল করছে। প্রচন্ড¯্রােতে সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না আর ৩টি লঞ্চের কাগজ আপডেট না থাকায় সেগুলো চলতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যাত্রী আর যান বাহনের চাপ সামলাতে না পেরে রোববার চাঁদপুর থেকে ফেরি ‘কাকলী’ ও “কলমীলতা’ যুক্ত করা হয়েছে বহরে। তারপরও হিমশিম খেতে হচ্ছে। অপেক্ষমান কার ও ট্রাকের সংখ্যা ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। আর ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার কথা থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। লঞ্চ ঘাটে পা রাখার জায়গা নেই। হুড়মড় করে লঞ্চ উঠার চেষ্টা করছে সবাই।
প্রশাসন বলছে তারা ঘাটের শৃংখলা রক্ষায় সব ধরণে চেষ্টা করছে। যাত্রীদের সেবায় দু’টি পৃথক কন্ট্রোল রুম এখানে বসানো হয়েছে। কিন্তু ঘাটে আসা যাত্রীরা কোন কথা শুনছেন না। স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। সামাজিক দূরত্ব দূরে থাক শারীরিক দূরত্বও তারা মানছেন না। অনেকে মাস্ক পর্যন্ত পরছেন না। মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, পদ্মার প্রবল স্রোতে ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে ছোট আকারের লঞ্চগুলো।
বিআইডব্লিউটিসির সহ মহাব্যবস্থাপক সফিকুল ইসলাম জানান, উত্তাল পদ্ময় ফেরিগুলো চলতে সমস্যা হচ্ছে। একে তো সব ফেরি চলতে পারছে না অন্যদিকে ফেরিগুলোর যাওয়া আসায় সময় লাগছে বেশি।ফলে ফেরির ট্রিপ কমে যাচ্ছে। তাই ঘাটে গাড়ির জটলা বেধেছে। শিমুলিয়া ঘটেই পণ্যবাহী ট্রাকসহ অর্ধ সহ¯্রাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে পারাপারের অপেক্ষায়।