শীতের সবজিতে স্বস্তি, গরমের দাম চড়া

কাঁচা বাজারে শীতের সবজির দাম কমলেও চড়া রয়েছে গরমকালীন সবজির দর। শীত মৌসুম শেষ হওয়ায় গত মাস থেকে শীতের সবজির দর বেড়েছিলো। একইসাথে পেয়াজ মরিচের দরেও ছিলো উর্ধ্বমুখী প্রবণতা। তবে সপ্তাহ দুয়েক থেকে দুই-একটি বাদে সব ধরণের সবজির দাম কমেছে। আগের সপ্তাহের মতোই এখনও অধিকাংশ সবজি কেজিপ্রতি ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে গরমের সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত না হওয়ায় দাম এখনও চড়া।

শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সব থেকে বেশি দাম বাড়ে শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি, টমেটো ও শিমের। এই সবজিগুলোর সেই বাড়তি দাম এখন আর নেই। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন ছোট আকারের প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। পাতাকপিও পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। শিম আগের সপ্তাহের মতোই ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে।

কিন্তু শীতকালীন সবজির দর কমলেও চড়া রয়েছে গরমের সবজির দর। কাঁচাবাজারে পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা এবং ঢেঁড়স ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার দর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেগুণবাগিচা কাঁচাবাজারের ক্রেতা মিসেস তামান্না খান বলেন, গত দুই এক সপ্তাহ ধরে কাঁচাবাজার স্থিতিশীল রয়েছে। প্রায় সব ধরণের শীতকালীন সবজির কেজি ৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।সবজির দাম এমন থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা সবজি খেয়ে কিছুটা শান্তি পাবে।

হাতিরপুল কাঁচাবাজারের পেয়াজ বিক্রেতা কালাম জানান, বর্তমানে মোকামে পেঁয়াজের দর কম আছে বলে আমরা আড়ত থেকে এখন কম দামে পেঁয়াজ আনতে পারছি।এখন বাজার নতুন পেঁয়াজে ভরপুর, তাই দাম কমে গেছে। সে কারণেই খোলাবাজারে পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

কালাম বলেন, বাজার এখন বিভিন্ন ধরণের সবজিতে ভরপুর। যে কারণে দাম কম। তবে যেসব সবজির সরবরাহ কম তার দাম চড়া। আশা করছি সরবরাহ বাড়লে খুব শিগগির এসব সবজির দামও কমে যাবে।

এদিকে গত সপ্তাহের মতোই কাঁচমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে এই পণ্যটির দাম ছিল ৮০ টাকার বেশি। এদিকে নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। গত সপ্তাহেই দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছিল। এখনও সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী কালাচাঁন বলেন, ভাল মানের দেশি পেঁয়াজ আগের সপ্তাহের মতই ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সব থেকে ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।

এদিকে কারওয়ানবাজারে এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। খোলা বাজারে মরিচের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শালগম (ওলকপি) ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । এছাড়া বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এমআর/