শুদ্ধি অভিযানে কেউ ছাড় পাবে না: কাদের

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজের দলের মধ্যে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, তা সব রাজনৈতিক দল ও সেক্টরে চালানো হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। সৎ সাহস আছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রমাণ করেছেন নিজের দল থেকে শুদ্ধি অভিযানের সূচনা করেছেন। কেউ ছাড় পাবে না।’

সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ দক্ষিণের সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব‌্যে এ কথা বলেন তিনি। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন একই স্থানে বিকেল ৪টায় শুরু হবে।

ওবায়দুল কাদের, ‘শুধু আওয়ামী লীগ নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দল…বড় বড় কথা বলছেন। খোঁজ নেয়া হচ্ছে। কারা দুর্নীতি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, খোঁজ নেয়া হবে। প্রশাসনে কারা দুর্নীতিবাজ। সব সেক্টরে খারাপ লোকদের খুঁজে বের করা হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে সুনাম, অর্জন, পরিশ্রম, তার যে ত্যাগ, বার বার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। এখনো তাকে বুলেট পেছনে তাড়া করে ফেরে। পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও আছেন এক ঝুকিপূর্ণ পথচলায়।’

‘আসুন শেখ হাসিনার কর্মীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, সততা নিয়ে, সাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পতাকা হাতে এগিয়ে যাই, কোনো শক্তি আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না।’

এর আগে ১১টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছেন সংগঠনের মহানগর দক্ষিণের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস। সম্মেলন সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক হন আরিফুর রহমান টিটু। উপস্থিত রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ ও সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। প্রায় ১৩ বছর এর মহানগরের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে নেতাকর্মীরা কর্মীবান্ধব ও সৎ নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন।

২০০৬ সালের ৩১ মে ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে দুটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। উত্তরের সভাপতি নির্বাচিত হন মোবাশ্বের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হন ফরিদুর রহমান খান ইরান। দক্ষিণের সভাপতি নির্বাচিত হন দেবাশীষ বিশ্বাস। সাধারণ সম্পাদক হন আরিফুর রহমান টিটু।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আলোচনায় আছেন ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‍যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, তারিক সাঈদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান রানা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমবায় সম্পাদক এইচএম কামরুল হাসান আইয়ুব।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল।

সম্প্রতি ক্যাসিনোকাণ্ডে মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকেও।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ দক্ষিণের সম্মেলনের একদিন পর মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনটির উত্তর শাখার সম্মেলন।

আজকের বাজার/এমএইচ