সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে সংসদে সর্বস্মত শোক প্রস্তাব গ্রহণ

একাদশ জাতীয় সংসদের যশোহর -৬ আসনের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে আজ সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ গ্রহণ করেন।

ইসমাত আরা সাদেক ১৯৪২ সালের ১২ডিসেম্বর বগুড়া জেলায় এব সম্ভ্রন্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর স্বামী এ এস কে সাদেক ছিলেন সাবেক সচিব, দু’বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সফল মন্ত্রী। তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ইসমাত আরা সাদেক দম্পতির অবদান উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহরের এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত এ এস কে সাদেকের সরকারি বাসভবন ১নং টেনামেন্ট হাউজ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম আশ্রয়স্থল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রায়ই মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ এ সরকারি বাসভবনে রাখতেন। তিনি এবং তাঁর স্বামী মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় প্রদানসহ সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করতেন। ১৯৯২ সালে তিান ও এ এস কে সমাদেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদের সরাসরি সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি অনেক সমাজসেবামূলক সংগঠনের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন।

সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ি বর্তমান সংসদের সদস্য ইসমত আরা জীবন ও কর্ম নিয়ে সংসদে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সরকারি দলের তোফায়েল আহমেদ, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, কাজী নাবিল আহমেদ, ওয়াসেকা আয়েশা খান, আ.খ.ম সারোয়ার জাহান ও জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান। আলোচনায় অংশ নিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি একজন চমৎকার মানুষ ছিলেন এবং দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

তিনি একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার স্বামী এ, এস কে সাদেক সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। এ অধিবেশনে পরপর ৪ জন সংসদ সদস্য আমরা হারালাম। এত শোক এবং ক্ষতি বহন করবো কিভাবে। আল্লাহ যেন সাহায্য করেন এ কামনা করছি। আলোচনা শেষে সংসদে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তার বিদেহি আত্মার মাগফেরাত করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী। এর পর সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ি সংসদের বৈঠক আজকের মতো মুলতবি ঘোষণা করা হয়। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান