সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা কখনোই বৃথা যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা ব্যর্থ হতে পারে না।’

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

রবিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২১ উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধকিারীদের জন্য আয়োজিত সংবর্ধনা এবং সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রাপ্তদের মধ্যে উপহার ও পুরস্কার তুলে দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা (সোনার বাংলা) হিসেবে গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের অগ্রগতি যেন থেমে না যায়…এই বছরের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এটাই আমাদের শপথ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর মতো দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে একীভূত প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে চায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। তাই আমরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি, যাতে গ্রামীণ এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ এসব উন্নয়নের ফল পেতে পারে।’

সরকার দেশের সব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জানিয়ে  তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যা অর্জন করেছি তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশ সেই সক্ষমতা অর্জন করেছে।’

স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এক সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পরিচয় দিতে ভয় পেতেন, এমনকি তারা মুক্তিযোদ্ধা বলতেও পারতেন না, স্বাধীনতার ইতিহাসকে কাল্পনিক গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানিনা পৃথিবীতে এমন কোন দেশ আছে কি না যারা নিজেদের বিজয়ের গল্পকে এভাবে বিকৃত করে সাজায়, তবে দুঃখজনক হলো আমাদের দেশে এই ধরনের জঘন্য কাজ করা হয়েছে।’’

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক এবং ক্যান্টনমেন্ট প্রান্তে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান উপস্থিত ছিলেন।