সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে অবদান রাখতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারের বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন ও পরিচালনায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক অবদান রাখার আহবান জানিয়েছেন।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহবান জানান।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আইডিইবি’র সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। এ উন্নয়নকে বেগবান ও টেকসই করতে দেশের প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, সমুদ্রবিজয়ের ফলে বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকার ওপর বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুরক্ষিত হয়েছে। বিশাল এ সমুদ্র এলাকার বৈচিত্র্যময় সম্পদ আহরণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনা বহুলপ্রত্যাশিত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে আইডিইবি’র এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘নীল অর্থনীতি এনে দেবে সমৃদ্ধি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী ও সমৃদ্ধশালী উন্নতদেশ গড়তে সরকার বহুমাত্রিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাস্তবায়িত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পদ্মাসেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হাইটেক পার্কের মতো মেগাপ্রকল্প। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞানকে শাণিত করতে আইডিইবি সচেষ্ট থাকবে বলে তিনি এ প্রত্যাশা করেন।
আইডিইবি’র ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও গণপ্রকৌশল দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।